জীবিত দম্পতিকে বলা হলো মৃত
পহেলগাম হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় মিডিয়ার মিথ্যা প্রচার

জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে ২২ এপ্রিল, ২০২৫-এ সংঘটিত ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনা ভারতজুড়ে ব্যাপক শোক ও উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। তবে এর মধ্যেই ভারতীয় মিডিয়ার একাংশের মিথ্যা প্রচারণা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
কিছু সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল যে ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট বিনয় নারওয়াল ও তার স্ত্রী এই হামলায় নিহত হয়েছেন। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে বিনয় নারওয়াল ও তার স্ত্রী নিজেরাই এ দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন।
ভাইরাল ভিডিওতে বিনয় নারওয়ালের স্ত্রী বলেন, আমরা মারা যাইনি, এ যে স্বশরীরে আপনাদের সামনে হাজির। আমরা লজ্জিত যে বারবার আমাদের ভিডিও দেখিয়ে মিথ্যা খবর ছড়ানো হচ্ছে। দয়া করে এটি বন্ধ করুন।
তিনি আরও জানান, ঘটনার সময় তারা কাশ্মীরে ছিলেন না এবং যারা প্রকৃতপক্ষে নিহত হয়েছেন, তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখানোর আহ্বান জানান। এ ঘটনা ভারতীয় মিডিয়ার একাংশের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, যাদের বিরুদ্ধে প্রায়ই অতিরঞ্জিত বা মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগ ওঠে।
এদিকে, ভারত সরকার এ হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে, দাবি করে যে হামলার সঙ্গে পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বা’র সংশ্লিষ্ট দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) জড়িত। ভারত ইতোমধ্যে পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু পানিবন্টন চুক্তি স্থগিত, আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধসহ বেশ কিছু কূটনৈতিক পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে। পাকিস্তান এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ভারত নিজেই এ ঘটনাকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে।
পহেলগাম হত্যাকাণ্ড কাশ্মীরের চলমান অস্থিরতার একটি মর্মান্তিক প্রতিফলন। তবে মিডিয়ার মিথ্যা প্রচারণা এ ঘটনার গুরুত্বকে ছাপিয়ে জনমনে অবিশ্বাস ও বিভ্রান্তি তৈরি করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া এখন মিথ্যা তথ্যের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে।
সবার দেশ/কেএম