Advertisement

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:২২, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজের নতুন গবেষণায় প্রকাশ

প্রতিটি সিগারেট জীবনের ২০ মিনিট কমায়

প্রতিটি সিগারেট জীবনের ২০ মিনিট কমায়
ছবি: সংগৃহীত

ধুমপানের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজ (UCL) এর বিজ্ঞানীদের নতুন গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিটি সিগারেট মানুষের জীবন থেকে গড়ে ২০ মিনিট কমিয়ে দেয়।

২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে এ গবেষণা সম্পন্ন হয়, যা যুক্তরাজ্যের সরকারের নির্দেশনায় পরিচালিত হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল ধূমপানের ক্ষতি কতটা গভীর তা বোঝানো এবং মানুষকে ধূমপান ছাড়তে উদ্বুদ্ধ করা।

গবেষণায় দেখা গেছে, মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রতিটি সিগারেট গড়ে ২২ মিনিট এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে ১৭ মিনিট জীবন থেকে কমিয়ে দেয়। এটি পূর্ববর্তী গবেষণার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ, যেখানে বলা হয়েছিল প্রতিটি সিগারেট ১১ মিনিট জীবন থেকে কমায়।

গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, ধূমপানের ক্ষতি ধাপে ধাপে জমা হয়। তবে যত তাড়াতাড়ি কেউ ধূমপান ছেড়ে দেয়, তত তাড়াতাড়ি তার জীবন এবং স্বাস্থ্য উভয়ই উন্নত হয়। উদাহরণস্বরূপ, কেউ যদি ১ জানুয়ারি ধূমপান ছেড়ে দেন, তবে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি এক দিন বাঁচাতে পারবেন। ধূমপানমুক্ত থাকলে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এক সপ্তাহ এবং ৫ আগস্ট পর্যন্ত এক মাস বাঁচাতে পারবেন।

এদিকে, যুক্তরাজ্য সরকার ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব কমানোর জন্য নতুন বিধি আরোপ করছে, যার মধ্যে শিশুদের খেলার মাঠ, স্কুল এবং হাসপাতালের বাইরের এলাকা থেকে ধূমপান নিষিদ্ধ করার উদ্যোগও রয়েছে। এছাড়া, ই-সিগারেটের বিজ্ঞাপন, প্যাকেজিং এবং স্বাদের উপর নিয়ন্ত্রণ আনা হচ্ছে এবং ২০২৫ সালের জুন থেকে একবার ব্যবহারের ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

ব্রিটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রী অ্যান্ড্রু গুইন বলেন, ধূমপান শুধু জীবনের দৈর্ঘ্য কমায় না, এটি জীবনের মানও কমিয়ে দেয়। তবে ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার সাথে সাথে শরীর সুস্থ হতে শুরু করে। তিনি আরও বলেন, এক বছরের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি অর্ধেক হয়ে যায় এবং দশ বছরে ফুসফুস ক্যান্সারে মৃত্যুর ঝুঁকি ৫০ শতাংশ কমে যায়।

গবেষক ড. সারা জ্যাকসন বলেন, প্রতিটি সিগারেট ২০ মিনিট জীবন থেকে কমিয়ে দেয়। তাই ধূমপান ছাড়ার জন্য এটি সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।

তাহলে, নতুন বছর উপলক্ষে সুস্থ জীবন শুরু করতে আজই ধূমপান ছেড়ে দিন। তথ্যসূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ

সবার দেশ/এ্রওয়াই