Advertisement

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:২৬, ৪ জানুয়ারি ২০২৫

মহামারীর আতঙ্ক এইচএমপিভি ভাইরাস

মহামারীর আতঙ্ক এইচএমপিভি ভাইরাস
ছবি: সংগৃহীত

বিশেষজ্ঞরা নতুন মহামারীর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চিন্তা তৈরি করছে এইচএমভি (Human Metapneumovirus) ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। যদিও কোন রোগটি মহামারী আকার ধারণ করবে, সে বিষয়ে এখনই নিশ্চিত কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা এ ভাইরাসের ব্যাপক ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন।

যুক্তরাজ্যের সাউথ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র গবেষক ড. মাইকেল হেড বলেছেন, আগামীর মহামারীর বৈশিষ্ট্য হবে মারাত্মক ছোঁয়াচে এবং মৃত্যুহার সর্বোচ্চ হবে। ‘এইচএমভি‘ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব চিন্তা বাড়িয়েছে, কারণ এটি ঠান্ডাজনিত সাধারণ সমস্যা যেমন জ্বর, নাকবন্ধ, কাশি বা শ্বাসকষ্টের মাধ্যমে শুরু হলেও, এটি নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস, অ্যাজমা বা কানে ইনফেকশন সৃষ্টি করতে পারে। এটি সংক্রমন হলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।

চীনে এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর অনেকেই হাসপাতালে ভিড় করছেন। এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে যেমনটা করোনার সময় হয়েছিল। চীনে সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছেন শিশু এবং বৃদ্ধরা। বিশেষ করে যাদের আগে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছিল। যদিও চীনা সরকার বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এখনো সতর্কতা জারি করেনি, তবে ভাইরাসটির দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভারতও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ভারতের স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক ড. অতুল গয়াল জানান, শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত কোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে তিনি বলেছেন, আপাতত আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এখন পর্যন্ত শঙ্কাজনক কোনো তথ্য আসেনি।

এ ভাইরাসের প্রতিরোধের জন্য চিকিৎসকরা করোনা মহামারীতে ব্যবহৃত সতর্কতা নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। যেমন, ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া, অপরিষ্কার হাতে নাক-মুখ স্পর্শ না করা এবং আক্রান্তদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা।

করোনা মহামারী শুরুর পর পৃথিবীজুড়ে ১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু এবং ৪০ কোটির বেশি মানুষের সংক্রমণ ঘটেছিল। এখন নতুন এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে এবং সবার মনে নতুন শঙ্কা তৈরী করেছে।

সবার দেশ/এওয়াই