ইসরায়েলি বিমান হামলা, কাতারে চলছে যুদ্ধবিরতি আলোচনা
গাজায় দুইদিনে হত্যা ১৪০
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলার মাত্রা চরমে পৌঁছেছে। গত দুই দিনে ১৪০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে বিমান হামলা করে হত্যা করা হয়েছে।। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ৬১ জন এবং বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ৭৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিশেষ করে, কাতারে যুদ্ধবিরতি আলোচনা শুরুর পর এ হামলার পরিস্থিতি আরও জোরালো হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায় যে, বৃহস্পতিবারের হামলায় গাজা উপত্যকার অন্তত ৮টি এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলা চালিয়েছে, যার ফলে ৭৭ জন নিহত এবং ১৪৫ জন আহত হয়েছেন। এদিকে, গত ১৫ মাসে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় মোট ৪৫,৭১৯ জন নিহত এবং ১,০৮,৫৮৩ জন আহত হয়েছেন।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, ইসরায়েল গাজার স্বাস্থ্য খাতকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে হামলা চালাচ্ছে। যার অংশ হিসেবে কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডা. হুসাম আবু সাফিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক জানান, গাজার ২৭টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১৩৬টি ইসরায়েলি হামলা হয়েছে। যার ফলে প্রচুর মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞ ঘটেছে।
কাতারে চলমান আলোচনায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেছেন, তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তি, গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং স্থানীয় জনগণকে তাদের ঘরে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানাচ্ছেন। জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বারবার ইসরায়েলকে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগও আনা হয়েছে।
তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছেন যে, ইসরায়েল নিজেদের নিরাপত্তা ও আত্মরক্ষার জন্য লড়াই করছে। হামাসকে পরাজিত করা ও জিম্মিদের মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে। এ সংকটটি গাজার জনগণের জন্য এক মহাবিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। এখন শান্তি ও মানবাধিকার রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার সময় এসেছে।
সবার দেশ/এওয়াই