Advertisement

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:৫২, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

স্বর্ণের খনির সন্ধান পেল পাকিস্তান

স্বর্ণের খনির সন্ধান পেল পাকিস্তান
ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া ও নানা অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে একটি বড় স্বর্ণের খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। সিন্ধু নদের পাঞ্জাব অংশের অববাহিকা এলাকায় ৩২ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত এ খনিতে অন্তত ২৮ লাখ ভরি (প্রায় ৩৩ টন) স্বর্ণ মজুত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যার বাজার মূল্য বর্তমানে ৮ হাজার কোটি (৮০০ বিলিয়ন) পাকিস্তানি রুপি। 

পাকিস্তানের ভূতাত্ত্বিক গবেষণা সংস্থা (জিএসপি) এ জরিপ পরিচালনা করে এবং সিন্ধু নদীর পাঞ্জাব তীরবর্তী ১২৭টি জায়গার নমুনা সংগ্রহের মাধ্যমে স্বর্ণের মজুতের এ ধারণা পৌঁছায়। সাবেক খনিমন্ত্রী ইব্রাহিম হাসান মুরাদ জানিয়েছেন, এ স্বর্ণ উত্তোলন শুরু হলে পাকিস্তানের অর্থনীতিতে তা নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করবে এবং কর্মসংস্থানসহ নানা ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনবে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, হাজার হাজার বছর ধরে হিমালয় থেকে সিন্ধু নদে ভেসে আসা সোনার কণা নদীর তলদেশে জমা হয়ে এ মজুত তৈরি করেছে, যা ‘প্লেসার ডিপোজিশন’ নামে পরিচিত। এক্সে মুরাদ বলেন, কেবল অ্যাটক জেলায় প্রায় ৩২.৬ মেট্রিক টন সোনা থাকতে পারে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে সিন্ধু নদ থেকে সোনার কণা সংগ্রহ করে আসছে। ২০২৪ সালে পাঞ্জাব সরকার নদী থেকে সোনা উত্তোলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং অবৈধ খনন বন্ধে ১৪৪ ধারা জারি করে।

বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়াসহ নানা আর্থিক সংকটের মধ্যে থাকা পাকিস্তানে স্বর্ণের খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। সিন্ধু নদের পাঞ্জাব অংশের অববাহিকা এলাকা এই খনিতে অন্তত ২৮ লাখ ভরি স্বর্ণ মজুত আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশটিতে যার বর্তমান বাজার মূল্য ৮ হাজার কোটি (৮০০ বিলিয়ন) পাকিস্তানি রুপি। খবর জিও টিভি।

পাঞ্জাব প্রদেশের সাবেক খনিমন্ত্রী ইব্রাহিম হাসান মুরাদের বরাতে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত ১০ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বার্তায় ইব্রাহিম হাসান মুরাদ বলেন, ‘সিন্ধু নদের পাঞ্জাব অংশের অববাহিকা এলাকা ৩২ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত এই খনিতে অন্তত ২৮ লাখ ভরি (প্রায় ৩৩ টন) স্বর্ণ মজুত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের ভূতাত্ত্বিক গবেষণা সংস্থা জিওলজিক্যাল সার্ভে অব পাকিস্তান (জিএসপি) এই জরিপ পরিচালনা করেছে। সিন্ধু নদের পাঞ্জাবের তীরবর্তী অঞ্চলের ১২৭টি জায়গার নমুনা সংগ্রহ ও তা পরীক্ষার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তে এসেছে জিএসপি।’ 

এক্সে সাবেক মন্ত্রী বলেন, আগামী দিনে এই মহামূল্যবান হলুদ ধাতুর উত্তোলন শুরু হলে তা পাকিস্তানের অর্থনীতিতে নতুন মাইল ফলক তৈরি করবে। কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে নানা ক্ষেত্রে নতুন মঞ্চ পাবে ভবিষ্যত প্রজন্ম।’

পাকিস্তানের ভূতাত্ত্বিক জরিপের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সিন্ধু নদের তলদেশ থেকে প্রায় ৬০০ বিলিয়ন রুপি মূল্যের স্বর্ণ উত্তোলন সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাজার হাজার বছর ধরে হিমালয় থেকে সিন্ধু নদের স্রোতের সঙ্গে ভেসে আসা সোনার কণা নদীর তলদেশে জমা হয়ে এই মজুত তৈরি করেছে, যাকে ‘প্লেসার ডিপোজিশন’ বলা হয়।

ইব্রাহিম হাসান মুরাদ জানিয়েছেন, কেবল অ্যাটক জেলায় ৩২ কিলোমিটার এলাকা জুড়েই প্রায় ৩২.৬ মেট্রিক টন সোনা থাকতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে সিন্ধু নদ থেকে সোনার কণা সংগ্রহ করলেও, ২০২৪ সালে পাঞ্জাব সরকার নদী থেকে সোনা উত্তোলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং অবৈধ খনন বন্ধে ১৪৪ ধারা জারি করে।

সবার দেশ/কেএম