Advertisement

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:২৬, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই
ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি চুক্তিতে সই করেছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি আন্দোলন হামাস। সূত্রের বরাতে মার্কিন সংবাদ সাইট এক্সিওস ও মধ্যপ্রাচ্যের আল অ্যারাবিয়া এ দাবি করেছে। অ্যাক্সিওসের মতে, চুক্তির ওপর ভোটের জন্য বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে ইসরায়েলি সুরক্ষা মন্ত্রিসভার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে দোহায় আলোচনায় শেষ মুহুর্তের বেশ কয়েকটি বিরোধের কারণে চুক্তিতে আনুষ্ঠানিক সই করা একদিন পিছিয়ে যায়।

ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভোটাভুটিতে বিলম্বের কারণে যুদ্ধবিরতি শুরু এবং প্রথম তিন জিম্মির মুক্তি আগামী রোববার থেকে অন্তত সোমবার পর্যন্ত পিছিয়ে যাবে।

চুক্তির অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির চূড়ান্ত তালিকা নিয়ে মতবিরোধের কারণে এ চুক্তি সই বিলম্ব হয়। অ্যাক্সিওস উল্লেখ করেছে, ইসরায়েলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করা বেশ কয়েকজন সামরিক নেতাকে বদল করার দাবি জানিয়েছে হামাস।

সূত্রের বরাত দিয়ে আল অ্যারাবিয়াও জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময়ে গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির জন্য হামাস ও ইসরায়েল একটি চুক্তি সই করেছে।

গাজা চুক্তি:

কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি ১৫ জানুয়ারি রাতে ঘোষণা করেন, দোহা, কায়রো ও ওয়াশিংটন গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি ঘোষণার জন্য ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি চুক্তির মধ্যস্থতা করেছে। তিনি বলেন, আগামী ১৯ জানুয়ারি (রোববার) থেকে এ চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা।

কাতারি কর্মকর্তার মতে, প্রাথমিক ৪২ দিনের পর্যায়ে হামাস ৩৩ জন ইসরায়েলি সামরিক ও বেসামরিক নারী জিম্মি, আহত বেসামরিক, শিশু এবং বৃদ্ধদের মুক্তি দেবে। বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেবে।

একটি সূত্রের বরাত দিয়ে আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গাজা সীমান্ত থেকে অন্তত ৭০০ মিটার দূরে সেনা প্রত্যাহার করবে ইসরায়েল। চুক্তির প্রথম ধাপে উভয় পক্ষই গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহারসহ পরবর্তী পর্যায়ের শর্তাবলী নিয়ে আলোচনার পরিকল্পনা করছে।

সবার দেশ/এফএ