দাবি কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমেদের
শামীম ওসমানের বাবা জামায়াতের সদস্য ফরম নিয়েছিলেন

আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের প্রয়াত বাবা এ কে এম শামসুজ্জোহাকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সদস্য হওয়ার জন্য দাওয়াত দেয়া হয়েছিলো বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমেদ। তিনি দাবি করেন, শামসুজ্জোহা জামায়াতের সদস্যপদের ফরম গ্রহণ করলেও তাতে স্বাক্ষর করেননি।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ভবনের একটি রেস্টুরেন্টে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন জামায়াতের নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও জেলার সাবেক আমির মাওলানা মঈনুদ্দিন।
তিনি বলেন, ওসমান পরিবারের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নিয়ে অনেকে বলে ‘ঠেইকা ছিলাম’। কিন্তু আমাদের কখনও শামীম ওসমানের সঙ্গে ঝগড়া হয়নি। তিনি আমাকে দেখলে সালাম দিতেন। আমি তার বাবার দোয়ার অনুষ্ঠানেও গিয়েছি। তিনি আরও জানান, অনেক আগে আমি শামসুজ্জোহাকে জামায়াতে যোগ দেয়ার দাওয়াত দিতে তাদের বাসায় গিয়েছিলাম। তিনি আমাকে সাদরে গ্রহণ করেছেন, চা-বিস্কুট দিয়ে আপ্যায়ন করেছেন এবং কাগজপত্র নিয়েছেন। তবে তিনি ফরমে স্বাক্ষর করেননি।
মাওলানা মঈনুদ্দিন অভিযোগ করেন, ওসমান পরিবারের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের বড় বড় কোম্পানির যোগসাজশ রয়েছে এবং তাদের শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এ টাকার উৎস ও পাচারের পথ খুঁজে বের করা সাংবাদিকদের পক্ষে সম্ভব। না হলে আমরা আগের অবস্থায়ই থাকবো। তিনি দাবি করেন, ওসমান পরিবারের ব্যবসা এখনো সচল রয়েছে এবং তাদের অনেকে দেশেই রয়ে গিয়ে এসব পরিচালনা করছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে উদ্দেশ করে মঈনুদ্দিন বলেন, ওসমান পরিবারের ব্যবসা কোথায় কী আছে, টিপু তা জানে। ফতুল্লায় তাদের একটি ফ্যাক্টরি রয়েছে, সেটার মালিকানা ও বিস্তারিত তিনি সাংবাদিকদের দেখিয়ে দেবেন।
এ বক্তব্যে ওসমান পরিবারের সঙ্গে জামায়াতের ঐতিহাসিক সম্পর্ক এবং নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক-ব্যবসায়িক প্রেক্ষাপট নিয়ে নতুন আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ বক্তব্য নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে পারে।
সবার দেশ/এমকেজে