Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:১২, ২২ এপ্রিল ২০২৫

আপডেট: ০০:১৩, ২২ এপ্রিল ২০২৫

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আইন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি 

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আইন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি 
ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে ‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ আন্দোলন’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম। সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে প্ল্যাটফর্মটির পক্ষে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

স্মারকলিপিতে তারা দাবি করেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ ও দলটির রাজনৈতিক নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ড, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের ঘটনায় ‘গণহত্যা’, এবং ২০২৪ সালের ‘জুলাই গণহত্যা’সহ বিভিন্ন ‘অপকর্মের’ জন্য দলটিকে বিচারের আওতায় আনা জরুরি।

কী দাবি শিক্ষার্থীদের?

স্মারকলিপিতে নয় দফা দাবি তোলা হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:

  • নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিল।
  • বিগত সংসদ সদস্যদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত।
  • গুম হওয়া ব্যক্তিদের খোঁজ, রাজনৈতিক মামলার প্রত্যাহার।
  • জুলাই আন্দোলনের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও নিরাপত্তা।

স্মারকলিপি প্রদান শেষে সচিবালয় ফটকে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিনিধি দলের সদস্য মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ। তিনি বলেন, আমরা আশা করেছিলাম আইন উপদেষ্টা অন্তত কিছু আশার বাণী শোনাবেন। কিন্তু তিনি কিছু বলেননি। তাই আমরা বুঝে গেছি, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হলে আরেকটি জুলাই গড়ে তুলতে হবে।

প্রতিনিধি দলে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাসুদ রানা, জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্সের আহ্বায়ক সালেহ মাহমুদ রায়হান, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদিক আল আরমান এবং রাফিদ এম ভুইয়া।

স্মারকলিপিতে নয় দফা দাবি তুলে ধরা হয়, যার মধ্যে রয়েছে—বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্যদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা, গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, ১৫ বছরের সব রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার, এবং ‘জুলাই আন্দোলনে’ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

আইন উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় সংবিধানের ১৩২ ধারার বিষয়েও আলোচনা হয়। প্রতিনিধি দলের সদস্য সালেহ মাহমুদ রায়হান বলেন, এ ধারায় সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি প্রয়োজন হয়, যা বিচারপ্রাপ্তির পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা এর বাতিলের দাবি জানিয়েছি।

ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিক আল আরমান বলেন, ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ গর্তে ঢুকেছিলো। এখন তারা দেশের আনাচে-কানাচে আবার সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবি।

আন্দোলনকারীরা জানান, দাবি আদায়ে শিগগিরই কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

সবার দেশ/কেএম