Advertisement

আসমা সরকার


প্রকাশিত: ০০:৫২, ১ জানুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ০০:৫২, ১ জানুয়ারি ২০২৫

স্বেচ্ছাচারির অস্বচ্ছতা

স্বেচ্ছাচারির অস্বচ্ছতা
ছবি: সবার দেশ

পনেরো বছর! দীর্ঘ পনেরোটি বছর মুখে কুলুপ এঁটে জনগণ শ্লোগান দিয়েছে, ‘জয় বাংলা’ বলে। কারণ, তা না হলে শেখের বেটি ভারতপুষ্ট তার মানস বাংলা থেকে বিতারিত করতে পারে এ ভয়ে। ‘জয় বাংলা’ ছিলো মানুষের বাহ্যিক শ্লোগান।

কথায় আছে ছোট ছোট বালুকণা, বিন্দু বিন্দু জল,গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল। জনগণের হৃদয়ে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিস্ফোরিত হলো জুলাইয়ের ৩৬ তারিখে। 

শুরু তো হয়েছিলো সামান্য কোটা বাতিলের দাবি নিয়ে। সেটা যে স্বৈরাচার পতন পর্যন্ত গড়াবে তা এখনও ভাববার বিষয়।

শেখ হাসিনা যদি কোনও রকমে দাবী মেনে নিয়ে ছাত্রদের সাথে বসতো,তবে হয়তো এ অভ্যুত্থান হতো না। এখানে ‘আল্লাহ'র মাইর,দুনিয়ার বাইর’ বলে প্রবাদটির স্বার্থকতা।

শেখ হাসিনা ও তার সরকার উন্নয়নের নামে দেশের যে ক্ষতি সাধনে সচেষ্ট ছিলো, খুন গুমের রাজত্ব কায়েম করার অভিপ্রায়ে এগিয়ে যাচ্ছিলো তা আল্লাহ সহ্য করেননি। জনতার চোখ ফাঁকি দিলেও আল্লাহর চোখ ফাঁকি দেয়ায় ব্যর্থ হলো ফ্যাসিস্ট আওয়ামিলীগের সরকার। বিদায় নিতে বাধ্য হলো স্বৈরাচার হাসিনা। ৩৬ জুলাই (৫ আগষ্ট) বাংলাদেশের ইতিহাসে এ প্রথম কোনও সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া।

পতন হলো পুরো একটা আওয়ামী পরিবারের। এমন অসভ্য একটা দল কিংবা সংগঠন বাংলাদেশে যেনো আর মাথাচাড়া দিতে না পারে।

তবে আমদের অনেতকই জানতামনা যে, আওয়ামী লীগ দেশদ্রোহী একটি স'ন্ত্রাসী সংগঠন।  অথচ আওয়ামী লীগ ভালো করেই জানতো ভারত বাংলাদেশকে সিকিমের মত এক সময় দখলে নেবে। ভারতের এই মিশনের প্রথম এজেন্ট ছিলো শেখ মুজিব।

আওয়ামী লীগ হচ্ছে , এজেন্ট ব্যাংকিং এর মতন, ভারতীয়  র’য়ের মিশন বাস্তবায়নের একটি রাজনৈতিক দল। যাদের লক্ষই হচ্ছে, দেশের স্বার্থ এবং জনগণের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে বাংলাদেশে ভারতীয় পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করা।

ভারত এখনও তাদের মিশনকে সাকসেসফুল করার জন্য বিএনপি'র ভারতপন্থী অংশের র-এর এজেন্ট ফখরুল গংদের দিয়ে দিয়ে বাকি কাজটুকু করে যাচ্ছে। এজন্যই বিএনপি'র এ অংশটি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিরোধিতা করে যাচ্ছে।  তারা আওয়ামীলীগকে পূর্ণবাসন করতে চাচ্ছে। তবে বিএনপি'র তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এটা মেনে নেবে না। 

গত ১৬ বছরে নির্যাতিত হয়েছে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা। ফখরুল গংরা তেমন কোনও নির্যাতনের শিকার হয়নি। প্রয়োজনে জনগণের দ্বারা ফখরুল গংরা ও এ বাংলাদেশ থেকে বিতারিত হবে ইনশাআল্লাহ।

লেখক: কবি ও কথাসাহিত্যিক