ঈদে মেহেদি ব্যবহারে সতর্কতা জরুরি

ঈদ আসলেই এক বিশেষ সময়, যেখানে প্রস্তুতি, আনন্দ, এবং ঐতিহ্য সব কিছু মিলিয়ে এক ভিন্ন রকমের অনুভূতি তৈরি হয়। মেহেদি ঈদের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা শুধু হাতের রঙে সৌন্দর্য যোগই করে না, বরং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্কের বন্ধনও আরও দৃঢ় করে। চাঁদরাতে মেহেদি পরা যেন ঈদের উৎসবের অপরিহার্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, ছোট ভাইবোনদের মেহেদির রঙ নিয়ে প্রতিযোগিতা, সে কড়া গন্ধের স্মৃতি, আর একসাথে বসে মেহেদি পরার আনন্দ এক অসাধারণ পরিবেশ সৃষ্টি করে। শৈশবের সেই মুহূর্তগুলো আমাদের মনে এক বিশেষ জায়গা করে নেয়।
ঈদের আনন্দের এ সময়ে মেহেদির ব্যবহার অনেক গুরুত্বপূর্ণ, তবে সঠিক উপকরণ এবং সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি। পন্নি খানের দেয়া সতর্কতাগুলি ঈদের প্রস্তুতিতে আরও সুরক্ষা এবং আনন্দ নিয়ে আসতে পারে।
১. সঠিক মেহেদি কেনা: মেহেদির গুণগত মানের প্রতি সতর্কতা রাখতে হবে। কেমিক্যালযুক্ত মেহেদি থেকে ত্বকের সমস্যা হতে পারে। তাই, ভালো এবং প্রাকৃতিক মেহেদি কিনুন।
২. সাবান দিয়ে হাত ধোয়া থেকে বিরত থাকুন: মেহেদি দেয়ার পর সাবান দিয়ে হাত ধুলে রং ফিকে হতে পারে। বরং, সরিষার তেল ব্যবহার করুন, যা রঙকে গাঢ় করে।
৩. ওঅ্যাক্সিং করবেন না: মেহেদি দেয়ার আগে ত্বক মসৃণ করা উচিত নয়, কারণ এতে মেহেদি ভালোভাবে বসে না।
৪. মেহেদি কমপক্ষে ৬ ঘণ্টা রাখুন: মেহেদি যত বেশি সময় হাতে থাকবে, রঙ তত গাঢ় হবে। তাই রাতে মেহেদি লাগিয়ে সকালে তুলুন।
৫. চিনি-লেবুর মিশ্রণ ব্যবহার: চিনি-লেবুর মিশ্রিত পানি মেহেদির রঙ গাঢ় করতে সাহায্য করে, তবে বেশি ব্যবহারে রঙ খয়েরি হয়ে যেতে পারে।
৬. হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না: মেহেদি শুকানোর জন্য প্রাকৃতিকভাবে শুকানো সবচেয়ে ভালো, হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
৭. প্রতিটি আলোক পরিস্থিতিতে মেহেদি দেয়া: ভালো আলোর মধ্যে মেহেদি করা উচিত, কারণ এটি ডিজাইনের সৌন্দর্য বাড়ায়।
৮. এলার্জির সতর্কতা: যাদের লেবুতে এলার্জি রয়েছে, তারা সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন মেহেদির রঙ গাঢ় করতে।
এ সতর্কতাগুলি মেনে চললে ঈদের আনন্দ দ্বিগুণ হতে পারে। ঈদ হোক মেহেদির রঙে রাঙানো, আনন্দময় এবং নিরাপদ!
সবার দেশ/কেএম