গল্প
নাভী ও নিভৃত বাসনা

এক গরীব লোক। তার বউ থানার ওসির সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত। বেচারা রাগের মাথায় বউকে দিছে তালাক। বউ গেছে থানার ওসির কাছে। ওসিরে বুঝাইছে, ‘আপনের বাসা ছাড়া আমার যাওয়ার আর জায়গা নাই। তয় আপনের বাসায় থাকলে আপনের ইজ্জত লইয়া টানাটানি লাগবো। বরং ওরে ভয় দেখান যাতে আবার আমারে ফেরত নেয়। স্বামী নামের সাইনবোর্ড থাকলে অন্য কেউ আমার কাছে আইবো না। তয় আপনার জন্য আমার দরোজা সবসময় খোলা থাকবো। অবৈধ সন্তান হইলেও ওই বেডার নামে চালাইয়া দিবার পারমু। আপনেরেও কেউ সন্দেহ করবার পারবো না।
বুদ্ধিটা ওসির পছন্দ হইছে। কিন্তু সরাসরি কইতে গেলে ধরা পড়বার চান্স আছে। কায়দা কইরা ওই গ্রামের চৌকিদারকে কিছু টাকা দিয়া হাত করছে আর ভয় দেখাইছে। ‘আমার কথা না শুনলে তর চাকরি নট। এমনকি অতীত কর্মের দায়ে জেলেও যাইবার পারোস।’ চৌকিদার অতীত অপকর্ম ফাস হওয়ার ভয়ে ওসির শিখানো মতো তালাক খাওয়া বেডির জামাইরে গিয়া কইছে, ‘আমি গেরামের পাহারাদার, ঠিক আছে। তয় তোর ঘরের কেচাল দেখবার পারুম না। জলদি তর বউরে ফিরায়ে আন। নইলে তর বাড়িতে চুরি-ডাকাতি অইলে, এমনকি তরে কেউ বাড়িছাড়া করলে আমারে দোষ দিবার পারবি না।’ জামাই বেচারা ভাবনার মধ্যে আছে তালাক দেওয়া বউরে ফিরাইবো নাকি তার বেতন খাওয়া চৌকিদারের বেতন বন্ধ করবো। নিরাপত্তা দেওয়ার হিম্মত যার নাই তারে রাইখাইবা কী অইবো...
লেখক: কবি ও কথা সাহিত্যিক