কে নাহার রেনুর কবিতা
ভাঙনের ডাক
আমি তো ফিরেছি চারুলতা বনে
শিশির ঝরা ঘাসে,
আমিতো ফিরেছি ভাঙনের ডাকে কঠিন সর্বনাশে।
ঝুলে পড়া বেণী ছুঁয়ে যাওয়া ফুল
ডাগর চোখের কোনে,
ফণিমনসার বিষ হয়ে আজো অতীতের স্মৃতি বুনে।
এক্কা দোক্কা পায়ের নুপুরে লেগে আছে চারুবন
দিন ফুরানোর গল্প শেষে পুড়ে ছাই হলো মন।
ধবল বকের উড়ে যাওয়া ক্ষণে মেলে দেই দুটি হাত
ফেরে না সে ঘরে সাঁঝের মায়ায় স্মৃতির ধারাপাত।
শ্যামল বিকেলে চারুলতা বনে হারানো বালক বেলা
চোখের কোনে খেলা করে রোজ হৃদয় ভাঙার খেলা।
কাকাতুয়া বুকে নিদারুণ সুখে হেম সুতো বুনা সুখ
ফেরার নদীর কুল বেয়ে কোথা হারিয়ে গেলো সে মুখ।
ঘাঁস ফড়িঙের কানামাছি খেলা গোল্লা ছুঁটের মাঠে
পদ্য পাঠের দিন গুলো আজো বুকের গলিতে হাঁটে।
স্মৃতির পসরা বুনে যাই শুধু ফেরেনা তো সেই দিন
দিন ফুরোনোর গল্প শেষে রেখে যাই কিছু ঋণ।
ভূ-খন্ড
টুকরো টুকরো করো ভূখন্ড,
পাথর ছুঁড়ে বুকের পাটাতন শক্ত হতে দাও,
আলো ফোটার আগেই ঘুমিয়ে গেছে যে শিশু
সেখানে রেখে এসো মানবিক সাইরেন,
নিশাচর কোনো পথিক থেমে গেলে,
বেজে উঠুক শব্দ উল্লাস,
জেগে উঠুক আমাদের পাঠশালায় অ,আ, ক,খ।
এখন অনেক বাকি জেরুজালেম থেকে মহানন্দা,
আমাদের ঠিকানা চেয়ে লজ্জা দেবেন না,
মৃত্যুই এখন ঠিকানা---