Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ প্রফেসর মো. আমির হোসেন


প্রকাশিত: ০৩:১৪, ৯ মার্চ ২০২৫

উপন্যাস

বঞ্চিত কৃষক

বঞ্চিত কৃষক
ছবি: সবার দেশ

(১০ম পর্ব)

স্বাভাবিকভাবেই পিপাসের বিয়েটা ভেঙে যায়। এই প্রথম সখিনা ফজর আলীকে দায়ী করে। ফজর আলী নিজের বিবেকের কাছে স্বচ্ছ। মেয়ে হলেও তার আত্মসম্মান আছে। ছেলে সুজনের ভবিষ্যৎও। মেয়েকে বিদায় করে নিঃস্ব হলে সুজনের কী হবে? 

এটা ভাবতে ভাবতেই ফজর আলী রামপুর বাজারে যায়। ওখানেই দেখা হয় সমবয়সী খালাতো ভাই এর সাথে। ও ঢাকায় থাকে। মন খারাপ দেখে ভাই জানতে চায়। ফজর আলী পিপাসের বিয়ের কথাটা বলে। ভাই বলে বেঁচে গেছিছ। ওরা খুব লোভী। ছেলেটা ঘুষখোর। ভূমি অফিসের পিয়ন৷ সবার ভাব সে অফিসার। এই পর্যন্ত বহু মেয়ে দেখেছে। লোভের কারণে কোথাও হয়নি। 

ফজর আলী বুঝে না কেমন চাকরি। সে বুঝে সরকারি চাকরি। দামি পাত্র। ভাই বুঝিয়ে বলে, খুবই ছোট মানের চাকরি। অবশেষে ফজর আলী স্বস্তি পায় কিন্তু সখিনা ভাবে ফজর আলী পিপাসের জন্য কিছু করেনি। এই জগতে সব দায় পুরুষের। কৃতিত্ব নারীর। তবুও নারী অতৃপ্ত। কেন? 

কেউ জানে না! নারী তো স্বীকার করবেই না! চরিত্রহীন থেকে সবকিছু পুরুষের। নারী ধোয়া তুলসীপাতা! ফজর আলী বাড়ি ফিরে সখিনাকে বাজারের ঘটনাটা বলে। সখিনা চুপ হলেও তার চোখ বলে ভিন্ন কথা। চোখের ভাষায় ফজর আলী পিপাসের বিয়ের জন্য দায়ী। এই প্রথম ফজর আলী চিন্তিত হয়!

জগতে সবই রহস্যের। গ্রামের মানুষ বেশি রহস্যময়ী। অশিক্ষিত মানুষ সহজসরল ভাবলেও গভীরে তারা বিপদজনক। লোভ তাদের বড় বিষয়। তাদের জীবন ছোট, চুরিও ছোট। কিন্তু এটুকুই তাদের কাছে বড়৷ নামাজ রোজায় পাক্কা। কিন্তু পরচর্চায় দক্ষ। কোনটা হারাম হালাল জানে কিন্তু মানে না! শিক্ষিত অশিক্ষিত সবাই এমন। অকারণে বদনাম করে। নিজেকে পবিত্র ভাবে। জগতের সব খারাপ শুধু নিজেই ভালো। (চলবে,,,)

লেখক: কবি, কথাসাহিত্যিক ও গীতিকার