কবিতা
সময়ে চেনা

সময়ে যায় সব চেনা
কে যে সুহৃদ আর কারা মোহে ধরনীতে কেনা।
সবার জীবনে এই সময়টা খুবই প্রয়োজন
নহে বৃথা জীবনের যত আয়োজন।
যুগ যুগ একই বেড করে শেয়ারিং
সময়ই শেখাবে সে আদৌ তার ছিলো কেয়ারিং!
বন্ধু, স্বজন কি’বা পা বাড়িয়ে দেখা পড়শী
ঘোমটা তুলে চেনা যাবে- বুড়ী? না-কি ষোড়শী!
সময়ের গলিতে বসে আজ আমি সময়টা গুনি
চারিদিকে ফিসফাস কত কী যে শুনি।
গোমড়া মুখ দেখে দূরে তারা মুখ ঢেকে কাশে
আমার ভেতরটা শুধু হাসে-
এই ভেবে- তারা সেটা দেখিতে কি পায়?
ভারী তার ঝোলাখানি দিনশেষে শূন্যে মিলায়।
বকতিমা, বাগাড়ম্বর সব খেলে জিতে যায় তারা
খ্যাতির পাহাড়ে চাপা পড়ে কাঁদে তার সব হারা
তারা কি তা জানে!
না-কি জেনেও না মানে?
এমনি প্রশ্ন হাজার দিনরাত জাগে আনমনে
বাহ্যিক হাসিতে সুখ, ভেতরে কী পোড় খাওয়া সে-ই শুধু জানে।
সময় না পাকিলে কে-বা চিনে লয় সময়ের জাত?
কোনটায় টক বেশি, কি’বা তেতো, মিঠা কোন রাত!
অসীম সমুদ্রে তৃষা? কি’বা লাভ, বারি তার লোনা
মিছে সব, তৃষ্ণার জল সেথা গোনা।
তখন-ই জাগিবে সাধ আবার তো পুকুরটাই ধরি
ফেরার সুযোগটা বধ, লোনা জলে, সরি ব্রো! সরি!
১৮০৩২০২৫
বিএমএ ভবন, তোপখানা রোড, ঢাকা।