স্বরবৃত্ত নদীর পাড়ে
এই পৌর্ণমাসী বৈকালিক জীবন আর
খেরোখাতার বাতাবী ক্ষণ ছেড়ে
চলে যাবো একদিন, স্বরবৃত্ত নদীর ওপারে।
শ্যাওলার সবুজ ঘুমে
মুক্তির ধারাস্নানে, বুনে যাবো শব্দের পাড়
মগ্ন চৈতন্যে হবো বিভোর সঘন জীবনের গন্ধে।
কতদিন বৃষ্টি নেই এখানে
পাখিরাও গেছে উষ্ণ জন্মভূমি ছেড়ে
কোথাও কোনো প্রাণ নেই আর
নিঃসাড় জমে আছে গাঢ় অন্ধকার, সময়ের শরীরে।
হরিতাভ ফসলের মাঠে অযত্নে বেড়ে ওঠা সবুজেও
ঈপ্সিত ইচ্ছেরা, কেমন জেগে থাকে!
মুক্ত হাওয়ার প্রান্তর আর একমুঠো রোদ্দুর দিলেই
আাড় বাঁশির শরীর নিয়ে, তারা কেমন হৃদয় বাজায়
অগ্রথিত রোদের শ্লোকে।
অভিসারী হোক ঋতুবতী রাত, ডুবে যাক ক্ষয়াটে চাঁদে
নিভে যাক যত আছে মেকি আলো, বিস্মরণের ফাঁদে।
নৈঃশব্দের কথোপকথনে, অসীমের উৎসবে
হয়তো পাবো দেখা, কোনো অমৃত অক্ষরের।
বিরহের নদী পেরিয়ে, যখন পৌঁছেছি তীরে
তবে দেখা হোক কোনো পাকদণ্ডী পথের ধারে।
আত্মা মরে গেলে বেঁচে থাকার মুহূর্তগুলোও
তাকিয়ে থাকে বিপন্ন বিস্ময়ে।