তোমারই রাকা
তোমার নীল বর্ণ পদ্ম চোখে, তাকালেই আমি হয়ে যাই অসংযমী
আমি নষ্ট হয়ে যাই, লীলাময়ী নৃত্যে চঞ্চলা হয় আমার মেখলা,
তোমার পৌষালী রাতের সবুজ মখমলি জানালায়,
আমি কাঁচ ভেদে প্রবেশ করি
পূর্ণ চন্দ্রিমার আভা হয়ে অনিন্দ্য জ্বালায়।।
তুমি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন শীতের নকঁশীতে জড়িয়ে,
জলপরীদের স্বপ্নে বিভোর,
আমি মুক্তো হয়ে সুপ্ত আলিঙ্গনে --
তোমার বুকের বা পাশে ছুঁয়ে যাই অথবা আপাদমস্তক আলতো করে,
চাঁদের দ্বিতীয়া তিথির মতো জোসনা বাসর সাজাই সংগোপনে,
তুমি জানতেও পারো না আমায় ---
বলো যদি ভালোবাসো ভয় কি তাহলে সহমরণে??
যদি ভাঙ্গা বীণায় সুর লহরীতে না পারো উঠাতে সুরের ঝংকার
সেই গান কি থাকে বলো কারো স্মরণে?
এসো এই প্লাবন থেকে আমরা করি চাষ বরো, আমন,
আমাদের হৃদয় জুড়ে থাকুক
বারোমাসি নবান্ন
এক মুঠো আলোর সন্ধানী আমি
দাও ভুলিয়ে এই বিষাদ --
হে, আমার অন্তিম কামনা বাসনার চিত্ত অভিলাষ সাধ,
তোমার ওই প্রদীপ শিখা জ্বালিয়ে,
উত্তাপিত করো এই ভগ্নহৃদয় খানি।।
কতদিন এই চোখ ভীষণ খরায় বৃষ্টি শুন্য?
আমি তোমার প্রভা, কানন বালা
নিশির শিশির চাই যে আমি ;
বুঝে কি নেবে এই পত্র লিখা শুধু তোমারই জন্য।।
তোমার ললাটে লেপটে দিলাম
আমার প্রেম স্পর্শী জলকণা,
আজ করব নিবেদন আমায়,
পরশ্রীকাতরতা ভুলে করো আয়োজন পুষ্পসজ্জা বিছানা
তুমি আমারি থেকো সখা আমি তোমারি রাকা।।