Advertisement

নাহিদা আশরাফী 

প্রকাশিত: ০৩:০৯, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১৭:১০, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

রোকেয়া ও হৃদয়রশ্মি

রোকেয়া ও হৃদয়রশ্মি
ছবি: সবার দেশ

অতঃপর 
রোকেয়ার স্বপ্নকে তোমরা ভাগ করে নিলে। 
মশাল হাতে মিছিলের অগ্রভাগে 
আমরা দেখলাম, 
অগণিত রোকেয়া রশ্মি। 

কোন কোন রশ্মি এলো 
মায়ের মমতার হয়ে। 
যেন বা শীত সকালের মিঠে রোদ। 
দুঃশাসন ভুলে গেলো, 
মিঠে রোদকে তাতিয়ে মধ্য দুপুরে আনতে নেই । 
ভুলে গেলো, 
বাঘের মুখ থেকে তবু খাবার কেড়ে নেয়া যায় 
মায়ের বুক থেকে সন্তান ! 
এই দুঃসাহস কে কবে পেয়েছে হায়! 

কোন কোন রশ্মি এলো 
বোনের বিশালতা নিয়ে। 
যেন বা দিগন্ত ডানার নিশ্চিত নির্ভরতা। 
দুর্বিনীত ভুলে গেলো 
পাখি ও নীলিমার নিবিড় শক্তির কথা। 
ভুলে গেলো, 
বাজপাখির হিংস্র থাবা তবু বাঁচার সুযোগ দেয় 
বোনের তীব্র করতল রাখে না কোন সংশয়। 

কোন কোন রশ্মি এলো 
প্রেমের পদাবলি হয়ে। 
যেন বা কৃষাণীর সমৃদ্ধ সাজানো বাগান। 
দুরাচার আবারো ভুলে গেলো, 
কর্ষিত ভূমি ও ভ্রমরের কথা। 
ভুলে গেলো, 
বৃক্ষ থেকে ফুল তবু আলাদা করা যায় 
অরণ্য থেকে সবুজ, বলো কী করে হারায় ?

মেঘের মন্দিরা বাজাতে বাজাতে, 
চঞ্চুতে যে গুঁজে রাখে স্বপ্নের আশালতা। 
বুকের ভেতর ভৈরবী ক্ষোভ নাচে 
তবু চোখ জুড়ে ভাসে কম্পিত ব্যাকুলতা। 

এমন মা, বোন কিংবা প্রেমিকাকে 
বলো তোমরা কোথায় রাখবে? 
অবিনাশী শক্তি হয়ে যে আসে, 
দ্রোহের দুর্বার পথে যে হাসে 
সে তো অবিচার দেখলেই জাগবে। 
 
তাই রাত্রি ভেঙে আলোর যাত্রী এলে, 
ওদের জানিয়ে দিয়ো। 
সমরে সংশয় রাখে না তারা। 
আত্মা ও আঁচল পেতে তুলে রাখে, 
শহীদের রক্তের ধারা। 
প্রতি যুদ্ধে, গণ জোয়ারে 
বারংবার ঢাল হয়ে ফিরে আসে 
প্রজন্মের রোকেয়ারা।

সম্পর্কিত বিষয়: