অতিন্দ্রিয় অনুভব
নদীর বুকে ঢেলে দিয়েছে আকাশের ঘন নীল
পাহাড়ের বুক থেকে খসে এসেছে যে শিলা
আনন্দে সাঁতার কেটে কেটে খেলছে মাছের সাথে।
মনে আছে সুনন্দিতা? আমরা দুজন এমনি করে সাঁতার-
কাটতে চেয়েছিলাম সুখের সাগরে, সঙ্গম নিরত
দম্পতির দীর্ঘ আলিঙ্গনের অঙ্গনে।
আমরা চেয়েছিলাম অনন্য রঙে সাজাতে এই ঘর
এই উঠোন, এই বিরান খামার। কুয়াশার ঘোমটা টানা নরম
আলো এখনও এসে জানালায় টোকা দেয়
এখনও সুবিন্যস্ত সমারোহে ফোটে বাগানের ফুল
তুমি নেই বলে হয় না খোলা দক্ষিণের জানালা।
স্মৃতির দেয়াল থেকে আজও পারিনি মুছে দিতে
স্বপ্নের আল্পনা। আজও নিয়ম করে জল দিই টবের গোলাপে
কেননা ফুটন্ত গোলাপের হাসিতে তোমার হাসি দেখে
জুড়াই দূরত্বের যন্ত্রণা।
বুকের ভেতরে খুব গোপনে বইছে দুঃখের যে নদী
সে নদীতে মাঝে মাঝে মেঘের মিনার ভেঙে
নেমে আসে উজ্জ্বল আলোর অভিক্ষিপ্ত অংশুদীপ
আমি তার ছায়া ছুঁয়ে পান করি দুঃখশিলার নির্যাস
তার থেকে গ্রহণ করি তোমার অতিন্দ্রিয় অনুভব।
অনুভবে আজও রয়েছে আমার ভেতরে
তোমার অবিবর্তিত বসবাস।
১১-০১-২০২৫