সাবেক আওয়ামী লীগ বলতে কিছু নেই, এরা হচ্ছে গণহত্যাকারী
একটা ডেভিলও যেন বাদ না যায়: হাসনাত আবদুল্লাহ
আমাদের এ দেশেই থাকতে হবে। সুতরাং এ দেশের সম্পদ, এ দেশের নিরাপত্তা আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে। সে জায়গা থেকে পুলিশ যেহেতু প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং ইতোমধ্যে তারা পদক্ষেপ নিয়েছে, আমরা এ জায়গা থেকে পুলিশকে সহযোগিতা করতে চাই।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, গাজীপুরকে যারা সন্ত্রাসের আঁতুর ঘরে পরিণত করেছে তাদের এ অপারেশন ডেভিল হান্টের মধ্য দিয়ে ধরতে হবে। একটা ডেভিলও যেন বাদ না যায়। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গাজীপুর শহরের রাজবাড়ী মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, খুনি হাসিনার লেসপেন্সার আওয়ামী লীগ এবং যুবলীগ দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করেছে। কারণ তারা জানতো দিন শেষে তারা দেশে থাকবে না। এজন্য তারা দেশ থেকে ২৬০ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে।
কিন্তু আমাদের এ দেশেই থাকতে হবে। সুতরাং এ দেশের সম্পদ, এ দেশের নিরাপত্তা আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে। সে জায়গা থেকে পুলিশ যেহেতু প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং ইতোমধ্যে তারা পদক্ষেপ নিয়েছে, আমরা এ জায়গা থেকে পুলিশকে সহযোগিতা করতে চাই। আমরা সহযোগিতা করব এর মানে এ নয় যে পুলিশ আবার মামলা বাণিজ্য করবে, এর মানে এ নয় যে আজকে ১৫ জনকে ধরে কালকে সকালে জামিন দিয়ে দেবে।
তিনি বলেন, সাবেক আওয়ামী লীগ বলতে কিছু নেই। এরা হচ্ছে গণহত্যাকারী সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বলতে কিছু নেই। এ মোজাম্মেল হচ্ছে গণহত্যাকারী।
এর আগে গতকাল শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুর মহানগরীর ধীরাশ্রম এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের পৈতৃক বাড়িতে হামলার খবর পেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতারা ঘটনাস্থলে যান। সেখানে পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় ১৫ জন আহত হয়েছেন।
এর মধ্যে গুরুতর আহত পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ হামলার প্রতিবাদে রাতেই গাজীপুর মহানগরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। পরে আজ দুপুরে শহরের রাজবাড়ী সড়কে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।
সবার দেশে/এমকেজে