Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:০৯, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ১৬:১০, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সারাদেশে প্রায় ৮০০ আয়নাঘর আছে

আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে ‘বীভৎস’  বললেন ড. ইউনূস

২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে ৩৪৪ ব্যক্তি গুমের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ৪০ জনকে। আর ৬৬ জনকে সরকারি হেফাজতে গ্রেফতার অবস্থায় পাওয়া গেছে।

আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে ‘বীভৎস’  বললেন ড. ইউনূস
ছবি: সংগৃহীত

দেশি-বিদেশী গণমাধ্যমকর্মী, ভুক্তভোগীদের সঙ্গে নিয়ে ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পরিদর্শন শেষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এটা বীভৎস দৃশ্য। গ্রামের মুরগির খাঁচাও এর থেকে বড় হয়। নড়াচড়ার জায়গা পায়। 

তিনি বলেন. যারা এটা করেছে তাদের বিচার করতে হবে। এগুলো সিলগালা করে রাখা হবে যাতে কেউ নষ্ট না করতে পারে। যা দেখলাম, শুনলাম অবিশ্বাস্য মনে হলো। যারা নিগৃহীত হয়েছে তাদের মুখ থেকেই শুনলাম। বিনা দোষে তাদের ধরে আনা হতো। ধরে এনে বলা হতো সন্ত্রাসী। এরকম টর্চারসেল সারা দেশজুড়েই আছে। কেউ বলে ৭০০ কেউ বলে ৮০০। সংখ্যাও জানা যায়নি। কতটা জানা আছে, কতটা অজানা রয়ে গেছে।

ড. ইউনূস আরও বলেন, আইয়ামে জাহেলিয়াত প্রতিষ্ঠা করেছিলো আওয়ামী লীগ সরকার। কমিশনকে ধন্যবাদ তারা অনেক কষ্ট করেছেন। দেশের অবনতির যে রুপ তার একটা চিত্র। মানুষের সামান্যতম অধিকার সেটাও বঞ্চিত করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর সংখ্যা সাড়ে ১৭০০। অজানা কতো আমরা জানি না। নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে অনেকে, কেউ তাদের খোঁজ জানে না। এক মেয়ে বললো, নয় বছর হয়েছে তার মা কোথায় কেউ জানে না। 

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ন্যায় বিচারটা যাতে তাড়াতাড়ি হয় সে ব্যবস্থা করা হবে। আমরা একটা নতুন পরিবেশ, নতুন বাংলাদেশ গঠন করতে চাই।

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান রিজওয়ানা, গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সদস্য নূর খান লিটনসহ ভুক্তভোগী বেশ কয়েকজন। এসময় দেখা যায় নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া তাদের যে কক্ষে রাখা হয়েছিলো সেটি চিহ্নিত করেন।

অভিযোগ রয়েছে, ভারতে পলাতক মাফিয়া হাসিনার শাসনকালে ২০০৯ থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬০৫ জনকে গোপনে বন্দি করে রাখা হয়েছিলো। অন্য আরেকটি তথ্যে বলা হয়েছে, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে ৩৪৪ ব্যক্তি গুমের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ৪০ জনকে। আর ৬৬ জনকে সরকারি হেফাজতে গ্রেফতার অবস্থায় পাওয়া গেছে।

যেসব ব্যক্তি দীর্ঘদিন গুম থাকার পর ফিরে এসেছেন, তারা গুমের ব্যাপারে মৌনতা অবলম্বন করেছেন। ধারণা করা হয়, এসব মানুষদের গুম করে রাখা হয় আয়নাঘরে। অভিযোগ রয়েছে, আয়নাঘরেই বন্দি ছিলেন- অধ্যাপক মোবাশার হাসান, সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান, ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ কুমার রায়, মাইকেল চাকমা ও মীর আহমদ বিন কাসেমসহ অনেকে।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) যৌথ জিজ্ঞাসাবাদ সেল এবং র‌্যাব-২ এর সিপিসি-৩ এর ভেতরের সেলগুলো পরিদর্শন করেছেন। এখন তারা র‌্যাব সদর দপ্তরের টাস্কফোর্স ইন্টেলিজেন্স সেন্টারে যাচ্ছেন।

সবার দেশ/এমকেজে