Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:০৪, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ২০:০৮, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

শোনা যাচ্ছে ৩ জনের নাম

তথ্য উপদেষ্টা পদে আলোচনায় এগিয়ে যারা

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপদেষ্টা পরিষদে আজ দফতর পুনর্বণ্টনের সম্ভাবনা কম। তবে শিগগিরই তা হতে পারে। নাহিদ ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমার পরে কে দায়িত্ব নেবে সেটা ক্যাবিনেটের পরবর্তী সভায় কেবিনেটই ঠিক করবে। 

তথ্য উপদেষ্টা পদে আলোচনায় এগিয়ে যারা
মাহফুজ আলম, শফিকুল আলম ও সিনিয়র সাংবাদিক মনির হায়দার। ফাইল ছবি

নতুন  রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন মো. নাহিদ ইসলাম। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক ছিলেন তিনি। তিনি  তার পদত্যাগের পর দুটি মন্ত্রণালয়ের শূন্য পদের দায়িত্বে কে আসছেন এমন আলোচনা শুরু হয়েছে। নতুন কাউকে দায়িত্ব না দেয়া পর্যন্ত  আপাতত দেখভাল করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সরকারের দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলছে, নাহিদের স্থলে তিনজনের নাম শোনা যাচ্ছে। তারা হলেন-উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মনির হায়দার। এ তিনজনের মধ্যে মাহফুজ আলমের নাম বেশি শোনা যাচ্ছে।

তথ্য উপদেষ্টা হিসেবে প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলমকে বেশি পছন্দ প্রধান উপদেষ্টার। সে হিসেবে তাকে অফারও করা হয়। তিনি উপদেষ্টা হলে সরকারের মুখপাত্র হিসেবে মিডিয়ার সামনে বক্তব্য দেয়ার দ্বিতীয় ব্যক্তি না থাকায় সেটি আর সামনে এগোয়নি। পরে তাকে সিনিয়র পদমর্যাদা দেয়া হয়। 

সম্প্রতি সিনিয়র সচিবের পদ মর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হয়েছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মনির হায়দার। তাকে মূলত প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠিত (ঐকমত্য গঠন কমিশনের) কাজে লাগাতে চান ড. ইউনূস। সে হিসেবে মাহফুজ আলম তথ্য উপদেষ্টা হিসেবে কিছুটা এগিয়ে আছেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও জানা যায়নি।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে জানতে চাইলে মাহফুজ আলম এবং প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

প্রধান উপদেষ্টার দফতর সূত্র বলছে, তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী বা উপদেষ্টার মূল কাজ সরকারের ভাবনা জনগণের কাছে পৌঁছানো। সে কাজের বেশিরভাগই করে দিচ্ছেন প্রেস সেক্রেটারি। সপ্তাহে দুই বা তিনদিন কখনও তার বেশি সময় নিয়মিত ব্রিফিং করছেন শফিকুল আলম। সেসব ব্রিফিং সরকারের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগ, সমস্যা, আইন শৃঙ্খলা ও অর্থনীতি পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরছেন। সে হিসেবে তথ্য উপদেষ্টার কাজটি প্রেস সেক্রেটারি করে দিচ্ছেন।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপদেষ্টা পরিষদে আজ দফতর পুনর্বণ্টনের সম্ভাবনা কম। তবে শিগগিরই তা হতে পারে। নাহিদ ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমার পরে কে দায়িত্ব নেবে সেটা ক্যাবিনেটের পরবর্তী সভায় কেবিনেটই ঠিক করবে। 

মাহফুজ আলম গত বছরের ১০ নভেম্বর উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন। তবে তিনি কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন না। এর আগে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ২০ দিনের মাথায় ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক করেছেন তিনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন মাহফুজ আলম। আন্দোলনে তিনি রাজনৈতিক-বুদ্ধিবৃত্তিক সহযোগীর দায়িত্বে ছিলেন। গণ–অভ্যুত্থানের পর ছাত্র, নাগরিক ও অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার জন্য গঠিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক ছিলেন তিনি।

সবার দেশ/এমকেজে