সেনাদের প্রস্তুত থাকতে বললেন সেনাপ্রধান

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সেনাসদস্যদের দায়িত্ববোধ ও আত্মত্যাগের মানসিকতার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দেশের প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সর্বদা প্রস্তুত থাকবে এবং প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করতেও কুণ্ঠিত হবে না।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী সেনানিবাসের প্যারেড গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারে ৭ম ‘কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট’-এর অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সেনাপ্রধান উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই দায়িত্বশীলতার সঙ্গে দেশের সেবা করে আসছে। আগামি দিনে এ রেজিমেন্টকে আরও আধুনিক ও সক্ষম করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি সেনাসদস্যদের একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান। সেনাবাহিনীর ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে সেনাবাহিনীর সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং সেনাসদস্যদের পেশাদারিত্ব ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে।
অনুষ্ঠানে সেনাসদর ও বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সেনাপ্রধান অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে তাকে সামরিক রীতিতে আনুষ্ঠানিক অভিবাদন জানানো হয় এবং পরে তাকে ‘কর্নেল র্যাঙ্ক ব্যাজ’ পরিয়ে দেয়া হয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রযুক্তিগত ও সাংগঠনিক উন্নয়নের মাধ্যমে নিজেদের শক্তিশালী করে তুলেছে। সামরিক আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে উন্নত প্রশিক্ষণ, উন্নত সরঞ্জাম ও কৌশলগত দক্ষতার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সেনাবাহিনীর এ অগ্রযাত্রা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সবার দেশ/কেএম