Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ১২ মার্চ ২০২৫

সাইকোপ্যাথ হাসিনার পরশ্রীকাতরতা

মুজিবকে পদক দিলেন খালেদা অথচ জিয়ারটা কেড়ে নেন হাসিনা

শেখ মুজিবের নামে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, তিনি মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডারও ছিলেন। তাকে বীর উত্তম উপাধি দিয়েছিলেন মুজিবের সরকার। এতো কিছুর পরও তার স্বাধীনতা পুরস্কার কেড়ে নেয়ায় সে সময় তীব্র প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছিলেন দেশের বিশিষ্টজনরা।

মুজিবকে পদক দিলেন খালেদা অথচ জিয়ারটা কেড়ে নেন হাসিনা
ফাইল ছবি

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ অবদানের জন্য ২০০৩ সালের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও শেখ মুজিবুর রহমানকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন ৪ দলীয় জোট সরকার। অথচ ক্ষমতায় এসে নিজের বাবারটা রাখলেও খালেদা জিয়ার স্বামী স্বাধীনতার ঘোষক সেক্টর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পদক কেড়ে নেয় ফ্যাসিস্ট হাসিনা।

২০১৬ সালের ২৬ আগস্ট তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় পুরস্কার-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এক সভার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাহার করা হয়। সরকারি সিদ্ধান্তে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাহারের পাশাপাশি জাতীয় জাদুঘর থেকে ওই পুরস্কারের মেডেল ও সম্মাননাপত্রও সরিয়ে ফেলা হয়। সে সময় সরকার দাবি করে, একই সঙ্গে দুজনকে স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়ে জিয়াউর রহমানকে শেখ মুজিবের কাছাকাছি নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিলো। তাই ইতিহাস বিকৃতি ঠেকাতে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

শেখ মুজিবের নামে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি একজন সেক্টর কমান্ডারও ছিলেন। তাকে বীর উত্তম উপাধি দিয়েছিলেন শেখ মুজিবের সরকার। এতো কিছুর পর তার স্বাধীনতা পুরস্কার কেড়ে নেয়ায় সে সময় তীব্র প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছিলেন দেশের বিশিষ্টজনরা।

তবে গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার এসে আবারও ফিরিয়ে দিলো শহীদ জিয়ার প্রাপ্ত সে স্বাধীনতা পদক। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের স্বাধীনতা পদক ঘোষণা সংক্রান্ত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের যে রায়ের পটভূমিতে ২০১৬ সালে সরকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে ২০০৩ সালে দেয়া মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিল করা হয়েছিলো। সে রায়ে তার স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের কোনও নির্দেশনা ছিলো না। তাই মুক্তিযুদ্ধে তার অসাধারণ অবদান বিবেচনায় স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের সিদ্ধান্ত সরকার স্থগিত করেছে।

একইসঙ্গে এবার জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম, সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ, সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ, সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ, মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান, শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্যে শহীদ আবরার ফাহাদকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক ২০২৫ এ ভূষিত করার সিদ্ধান্তের কথা জানায় সরকার।

সবার দেশ/কেএম