Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:০২, ২৩ মার্চ ২০২৫

আপডেট: ১৬:১৩, ২৩ মার্চ ২০২৫

আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানোর মামলার তদন্ত শেষ: তাজুল ইসলাম

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়- পুলিশ সদস্যরা গুলিবিদ্ধ লাশগুলোর হাত-পা ধরে ভ্যানে তুলে নেয়। এরপর লাশগুলো ব্যানার দিয়ে ঢেকে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানোর মামলার তদন্ত শেষ: তাজুল ইসলাম
.

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঢাকার আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা তদন্ত শেষ হয়েছে। রোববার (২৩ মার্চ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যা মামলায় আশুলিয়ায় হত্যার পর ৬ লাশ পোড়ানোর ঘটনাটি প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনের বিজয়ের দিনে ৫ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে আশুলিয়ায় অন্তত ৩১ জন নিহত হন। পরদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ১৫ জন মারা যান।

এছাড়া, ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে অন্তত ৭৫ জন নিহত হন, এবং দেড় হাজারের বেশি মানুষ আহত হন, যাদের অনেকে পঙ্গু হয়ে গেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়- পুলিশ সদস্যরা গুলিবিদ্ধ লাশগুলোর হাত-পা ধরে ভ্যানে তুলে নেয়। এরপর লাশগুলো ব্যানার দিয়ে ঢেকে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

ঘটনাস্থলের প্রমাণ হিসেবে একটি পোস্টারে স্থানীয় মেম্বার প্রার্থী আবুল হোসেনের নাম পাওয়া যায়, যা ভিডিওটির অবস্থান নিশ্চিত করে।

এ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ১১ সেপ্টেম্বর দুটি অভিযোগ দায়ের হয়, যা পরে একত্রিত করে একটি মামলা করা হয়। ২৪ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এ মামলার সাবেক এমপি সাইফুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। তবে ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, তৎকালীন ওসি এ এফ এম সায়েদ, ডিবি পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক এবং কনস্টেবল মুকুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে দাখিলের পর পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ মামলার রায় বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে উঠবে।

সবার দেশ/কেএম