Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:১৪, ২৫ মার্চ ২০২৫

রোহিঙ্গাদের জন্য ১০০ কোটি ডলার সহায়তা চাইলো জাতিসংঘ

রোহিঙ্গাদের জন্য ১০০ কোটি ডলার সহায়তা চাইলো জাতিসংঘ
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ২০২৫-২৬ মেয়াদে প্রায় ১০০ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে জাতিসংঘ। সোমবার (২৪ মার্চ) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান (জেআরপি)-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ এ আহ্বান জানায়। 

এতে বলা হয়, বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য ৯৩৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৯৪ কোটি ডলার) সহায়তা প্রয়োজন।

দাতা সম্মেলন ও অংশগ্রহণকারী দেশসমূহের সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আয়োজিত এ প্রকাশনা ইভেন্টে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে রোহিঙ্গা সমস্যা বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ এবং বিভিন্ন দাতা দেশের প্রতিনিধিরা।

২০১৭ সাল থেকে এক বছর মেয়াদি জেআরপি ঘোষণা করা হলেও এবারই প্রথমবারের মতো দুই বছরের মেয়াদি জেআরপি ঘোষণা করা হচ্ছে। তবে, ২০২৫ সালের জন্য ৯৩৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

রোহিঙ্গা সংকট এখনও আন্তর্জাতিক অগ্রাধিকারের বাইরে রয়েছে এমনটাই জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখ করে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকট আন্তর্জাতিক আলোচনায় গুরুত্ব পাচ্ছে না। কিন্তু এ শরণার্থী জনগোষ্ঠীর জন্য এখনও জরুরি সহায়তা প্রয়োজন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, খাদ্য সহায়তা, জ্বালানি বা তহবিলের ঘাটতি রোহিঙ্গাদের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। রোহিঙ্গাদের এক-তৃতীয়াংশের বয়স ১০-২৪ বছর। আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ না থাকলে তারা ভবিষ্যতে আরও ঝুঁকিতে পড়বে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি অনুকূল না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে।

জেআরপি ২০২৫-২৬-এর উপকারভোগীরা কারা?

জেআরপি ২০২৫-২৬-এর আওতায় সরাসরি সুবিধাভোগীদের মধ্যে কক্সবাজার ও ভাসানচরের ক্যাম্পে বসবাসকারী ১০ লাখ ৯০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং কক্সবাজার জেলার প্রায় ৩ লাখ ৯২ হাজার স্থানীয় জনগোষ্ঠী অন্তর্ভুক্ত।

পরোক্ষভাবে, জেআরপি অংশীদাররা তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

ক্যাম্প ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ করা হয়।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক এনজিওগুলো স্থানীয় অংশীদারদের দক্ষতা উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করছে।

সাহায্যের গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

জাতিসংঘের মতে, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের অষ্টম বছরে তাদের জন্য জীবন রক্ষাকারী সহায়তা অব্যাহত রাখা জরুরি। কারণ, তহবিল সংকটে খাদ্য ও চিকিৎসা সেবায় বড় ধরনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। বাংলাদেশ সরকার ও স্থানীয় জনগণের ওপর চাপ কমাতে আন্তর্জাতিক সহায়তা বাড়ানো প্রয়োজন। মিয়ানমারে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের আগে রোহিঙ্গাদের মৌলিক চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।

এ প্রস্তাবনা অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ মেয়াদে রোহিঙ্গাদের জন্য ১০০ কোটি ডলারের সহায়তা দরকার। এখন দেখার বিষয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই তহবিল জোগাড়ে কতটা উদ্যোগী হয়।

সবার দেশ/কেএম