Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০১:৫৪, ২৭ মার্চ ২০২৫

বঙ্গভবনের ইমাম সেনাপ্রধান

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের ইমামতিতে নামাজ আদায় একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত ছিলো, যা দেশের সামরিক বাহিনী এবং তার নেতৃত্বের ধর্মীয় ও সামাজিক দায়িত্বের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

বঙ্গভবনের ইমাম সেনাপ্রধান
ছবি: সংগৃহীত

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গত ২৬ মার্চ বঙ্গভবনে এক বিশেষ সংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সভাপতিত্বে এ ইফতার মাহফিলে দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান, জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান মাগরিবের নামাজে ইমামতি করেন, যা উপস্থিত অতিথিদের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত ছিলো।

বঙ্গভবনের অস্থায়ী শেডে অনুষ্ঠিত এ ইফতার মাহফিলের পর, মাগরিবের নামাজে ইমামতি করেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। নামাজের সময় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ইমামের পেছনে চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করেন। নামাজে উপস্থিত ছিলেন অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি, যার মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন, স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনি, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিচার বিভাগ এবং সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও আমন্ত্রিত অতিথিরা।

এদিনের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন, যারা দেশের স্বাধীনতা, একতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানটি ছিলো একটি ধর্মীয় সমাবেশের পাশাপাশি ঐক্য ও শান্তির প্রতীক।

মহান স্বাধীনতা দিবসের প্রেক্ষাপটে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও জাতীয় মূল্যবোধের প্রতীক। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যক্তিরা একত্রিত হয়ে এদিনের মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন। এমন একটি অনুষ্ঠান, যেখানে দেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ একটি ধর্মীয় কার্যক্রমে অংশ নেন, তা শুধু বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকেই তুলে ধরে, বরং জাতির ঐক্য ও ধর্মীয় সম্প্রীতির শক্তিশালী বার্তা প্রদান করে।

এছাড়াও, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের ইমামতিতে নামাজ আদায় একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত ছিলো, যা দেশের সামরিক বাহিনী এবং তার নেতৃত্বের ধর্মীয় ও সামাজিক দায়িত্বের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

এদিকে, নামাজে অংশগ্রহণকারী অতিথিদের মধ্যে ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন, স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনি, এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্মকর্তা, বিচারক, সেনা কর্মকর্তাসহ আমন্ত্রিত ব্যক্তিরা। তারা সবাই নামাজে অংশগ্রহণ করেন এবং দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা কামনায় দোয়া করেন।

বঙ্গভবনে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের উদ্যোগে আয়োজিত এ ইফতার মাহফিল ও নামাজের ইমামতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ঐক্য ও সংহতির এক উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে রইলো। এমন একটি আয়োজন দেশের অভ্যন্তরীণ ঐক্য এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে, যা বাংলাদেশকে আরও শক্তিশালী এবং সম্মানিত একটি জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।

সবার দেশ/এমকেজে