ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা
ভাংচুরকারীদের গ্রেফতারে আইজিপির নির্দেশ

দেশের বিভিন্ন শহর, বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলে দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চালানো সহিংস হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে এক জরুরি ব্রিফিংয়ে আইজিপি এ নির্দেশনা দেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম।
তিনি জানান, আইজিপি স্পষ্ট করে বলেছেন, আমাদের কাছে হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। তাদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের বিশেষ ইউনিট ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছে। দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের এ চক্রান্ত কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।
আইজিপি আরও বলেন, সরকার কখনও শান্তিপূর্ণ ও আইনানুগ প্রতিবাদে বাধা দেয় না। তবে, প্রতিবাদের নামে সহিংসতা, ভাঙচুর, আগুন লাগানো কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
বিনিয়োগ সম্মেলনের মুহূর্তে সহিংসতা: বিডা চেয়ারম্যানের ক্ষোভ
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।
তিনি বলেন, ঠিক এমন এক সময় যখন বাংলাদেশকে একটি উদীয়মান বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরতে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিটের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন চলছে, তখন দেশের অভ্যন্তরে এ ধরনের সহিংসতা গভীর উদ্বেগের বিষয়।
তিনি আরও বলেন, হামলার শিকার অনেক প্রতিষ্ঠান স্থানীয় উদ্যোক্তাদের হলেও কিছু ছিল বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মালিকানাধীন। এসব প্রতিষ্ঠান দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে, পাশাপাশি যুবসমাজের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। যারা এ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, তারা বাস্তবে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার শত্রু।
পুলিশের কড়া বার্তা
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, হামলায় ব্যবহৃত যান, অস্ত্র এবং মুখোশধারী হামলাকারীদের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষণ করে ফেস রিকগনিশন প্রযুক্তির সাহায্যে শনাক্তকরণ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন থানা ও গোয়েন্দা ইউনিটকে তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সিলেট ও ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি এলাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় হঠাৎ করেই বেশ কিছু দোকান, সুপারশপ এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দলের নাম না এলেও সংঘবদ্ধ কৌশলেই হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
সবার দেশ/কেএম