বিনিয়োগের এমন সুযোগ আগে আসেনি
দক্ষিণ এশিয়ার বিনিয়োগ ‘হাব’ হবে বাংলাদেশ: ড. ইউনূস
বাংলাদেশ শুধু স্থানীয় বাজার নয়, নেপাল ও ভুটানের মতো স্থলবেষ্টিত দেশগুলোর দিকেও সরবরাহ চেইন বিস্তারে উপযুক্ত অবস্থানে রয়েছে। এ অঞ্চলকে কেন্দ্র করেই দক্ষিণ এশিয়ার একটি বিনিয়োগ ‘হাব’ তৈরি হচ্ছে।

বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে বর্তমানে যে পরিবেশ বিরাজ করছে, তা দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, গত আট মাসে আমরা যা করেছি, তা হচ্ছে একটি বাস্তব, বিনিয়োগবান্ধব বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় চীনা বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বিনিয়োগকারীরা ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫’-এ অংশ নিতে ঢাকায় এসেছেন।
মাসিক প্রাতঃরাশ সভা, হটলাইন চালু হচ্ছে
বৈঠকে জানানো হয়, কোরিয়া ও চীনা বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে নিয়মিত ‘প্রাতঃরাশ সভা’ আয়োজন করবে বাংলাদেশ। এতে সরাসরি অংশ নেবেন প্রধান উপদেষ্টা। বিনিয়োগের পথে যে কোনও প্রতিবন্ধকতা নিরসনে চালু হচ্ছে একটি হটলাইন ও কল সেন্টার। কোনও বিনিয়োগকারী একটি নম্বরে কল করলেই আমরা সরাসরি ব্যবস্থা নেবো, বলেন ড. ইউনূস।
এ উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের বিনিয়োগ পরিবেশে সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে বলে জানান তিনি।
শ্রম ও বাণিজ্যখাতে সংস্কার
ড. ইউনূস বলেন, বর্তমান সরকার বাণিজ্য ও শ্রমখাতে যুগান্তকারী সংস্কার করেছে। এতে চীন ও কোরিয়ার মতো শিল্পভিত্তিক দেশগুলো বাংলাদেশে উৎপাদন কারখানা স্থানান্তরে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতি মাসের ১০ তারিখে বিডার আয়োজনে চীনা ও কোরিয়ান বিনিয়োগকারীদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদও এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
চট্টগ্রাম-মংলায় চীনা আগ্রহ, ইভি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিতেও
চীনের বড় বড় কোম্পানিগুলো চট্টগ্রামে ডেডিকেটেড চীনা ইকোনমিক জোন ও মংলায় ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। সেখানে একটি আধুনিক সমুদ্রবন্দর নির্মাণে চীন অগ্রসর ভূমিকা পালন করছে। এ ছাড়া ইলেকট্রিক ভেহিকল (ইভি), লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি, বায়ু টারবাইন এবং অফশোর ফটোভোলটাইক সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনেও বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে তারা।
শি চিনপিংয়ের প্রতিশ্রুতি
বেইজিং সফরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে ড. ইউনূস বলেন, তিনি চীনা কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। তার এ প্রতিশ্রুতি আমাদের জন্য আশাব্যঞ্জক।
দক্ষিণ এশিয়ার ‘হাব’ হিসেবে বাংলাদেশ
ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ শুধু স্থানীয় বাজার নয়, নেপাল ও ভুটানের মতো স্থলবেষ্টিত দেশগুলোর দিকেও সরবরাহ চেইন বিস্তারে উপযুক্ত অবস্থানে রয়েছে। এ অঞ্চলকে কেন্দ্র করেই দক্ষিণ এশিয়ার একটি বিনিয়োগ ‘হাব’ তৈরি হচ্ছে।
সবার দেশ/কেএম