আবারও টানা চার দিনের ছুটির কবলে দেশ

ঈদুল ফিতরের দীর্ঘ ৯ দিনের ছুটির রেশ কাটতে না কাটতেই সামনে এলো আরও এক টানা ছুটির সুযোগ। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আসছে সোমবার (১৪ এপ্রিল) সরকারি ছুটির দিন নির্ধারিত থাকায়, একদিন ব্যক্তিগত ছুটি নিলেই চাকরিজীবীরা উপভোগ করতে পারবেন টানা চার দিনের ছুটি।
ছুটির হিসাব এমন—শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ও শনিবার (১২ এপ্রিল) সাপ্তাহিক ছুটি। রোববার (১৩ এপ্রিল) অফিস খোলা থাকলেও কেউ যদি ঐচ্ছিক বা ব্যক্তিগত ছুটি নিতে পারেন, তাহলে সোমবারের সরকারি ছুটি মিলিয়ে পুরো চার দিনই ছুটি কাটানো যাবে নির্ভারভাবে।
অফিস-পালানো পরিকল্পনা জমজমাট
প্রতিবারের মতো এবারও বহু চাকরিজীবী এ ‘ব্রিজ হলিডে’র সুযোগ কাজে লাগাতে চান। বিশেষ করে যারা ঢাকার বাইরে ঈদের ছুটিতে ছিলেন এবং ফিরেই অফিস শুরু করেছেন, তাদের অনেকেই আবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সময় কাটাতে।
আরও পড়ুন <<>> পার্বত্য জেলায় চৈত্র সংক্রান্তির ছুটি ১৩ এপ্রিল
অফিস-আদালতগুলোতেও কর্মীদের মধ্যে ছুটির আবেদন নিয়ে নানান আলোচনা দেখা যাচ্ছে। অনেকেই ব্যক্তিগত ছুটির আবেদন করেছেন আগেভাগেই, কেউবা চেষ্টা করছেন শেষ মুহূর্তে ছুটিটা ম্যানেজ করে নেয়ার।
পর্যটন খাতের জন্য সুবর্ণ সুযোগ
এমন টানা ছুটির খবর পেয়েই দেশের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে আগ্রহ বাড়তে শুরু করেছে। কক্সবাজার, সিলেট, বান্দরবান কিংবা সুন্দরবনের ট্যুর প্যাকেজের খোঁজ নিতে শুরু করেছেন অনেকেই। হোটেল ও রিসোর্টগুলোতেও বুকিং শুরু হয়ে গেছে।
সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী
সরকারি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সারাদেশে সরকারি ছুটি থাকবে। এ দিনটি বাঙালির ঐতিহ্যবাহী উৎসব “নববর্ষ” হিসেবে পালিত হয়, আর সেজন্যই দিনটি বরাবরই ছুটির দিন হিসেবে গণ্য হয়ে আসছে।
চাকরিজীবীদের হাসি মুখে, উৎপাদন ব্যাহত?
চাকরিজীবীদের জন্য এ ছুটি বিশ্রামের নতুন সুযোগ হলেও, উৎপাদন ও সরকারি কার্যক্রমের ক্ষেত্রে কিছুটা ধীরগতি তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, টানা ছুটির এ প্রবণতা দেশের আর্থিক গতিপ্রবাহে প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে যেসব খাতে সময়নিষ্ঠ উৎপাদন ও রফতানি জরুরি।
সবার দেশ/কেএম