মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিবৃতি
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে জনগণই
যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলী বার্তায় ফের উঠে এলো গণতন্ত্র, গ্রেফতারি পরোয়ানা ও ইসলামপন্থার প্রসঙ্গ

ওয়াশিংটন ডিসি থেকে পাঠানো খবরে জানা গেছে, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট আবারও বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছে। তবে এবার তাদের ভাষ্য ছিল অপেক্ষাকৃত সতর্ক এবং বহুমাত্রিক। নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশি জনগণই নির্ধারণ করবে।
বলা বাহুল্য, সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি বিতর্কিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘ইসলামি চরমপন্থা’র পুনরুত্থান নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়। এ প্রসঙ্গ টেনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ট্যামি ব্রুস বলেন, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে বেশ কিছু ইস্যু রয়েছে... এটি এমন একটি দেশ, যা নিয়ে আমরা প্রায়ই কথা বলেছি।
ব্রিফিংয়ে আলোচনায় আসে ব্রিটিশ এমপি ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়টি। মুখপাত্র ব্রুস বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে আমার কাছে যে তথ্য আছে তা হলো— বৃটেনের এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে... অবশ্য তাদের (বাংলাদেশ সরকার) সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলাও গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ বক্তব্যে স্টেট ডিপার্টমেন্ট একদিকে বাংলাদেশের সার্বভৌম সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখালেও, অপরদিকে আবার একটি স্পর্শকাতর মামলার প্রসঙ্গ টেনে কৌশলে বার্তা দেয়ার চেষ্টাও করেছে।
ট্যামি ব্রুস আরও বলেন, গণতন্ত্রও একটি ইস্যু। এসব ইস্যু মোকাবেলায় জনগণের পদক্ষেপই ম্যাটার করে, যেমনটি আমরা গত ২০-২৫ বছর ধরে দেখেছি, কীভাবে এসব ইস্যু তাদের জীবন ধ্বংস করে দিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন জাতির পছন্দ আজ স্পষ্ট— গণতন্ত্রের পথে কেউ হাঁটছে, কেউবা পেছনে টানছে।
বিশ্লেষক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, স্টেট ডিপার্টমেন্ট যখন ‘জনগণই নির্ধারণ করবে ভবিষ্যৎ’— এ কথা বলছে, তখন কি তারা বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে? নাকি এটি কূটনৈতিক ভাষায় পরোক্ষ হস্তক্ষেপেরই আরেক রূপ?
রাজনৈতিক ভাষ্যকারদের মতে, এ বক্তব্য যেমন একধরনের সতর্ক সরে দাঁড়ানো, তেমনই এটি হতে পারে আগাম নির্বাচনী পরিস্থিতির ওপর আন্তর্জাতিক নজরদারির কৌশলী ঘোষণা।
সবার দেশ/এমকেজে