Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:০৮, ২০ এপ্রিল ২০২৫

তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ

হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ
ফাইল ছবি

গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ভারতে পলাতক ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী মাফিয়া হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

রোববার (২০ এপ্রিল) ট্রাইব্যুনালে শুনানির সময় তিনি এ তথ্য উপস্থাপন করেন। শুনানি শেষে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশন টিমকে আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়।

চিফ প্রসিকিউটর জানান, তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, পরিকল্পিত সহিংসতা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের নির্ভরযোগ্য সাক্ষ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি বলেন, তথ্য-প্রমাণে স্পষ্ট যে, অভিযুক্তরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা অপব্যবহার করে জনগণের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালিয়েছেন।

শুনানির আগে সকালে প্রিজনভ্যানে করে সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৯ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। হাজির হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন—আনিসুল হক, ডা. দীপু মনি, ফারুক খান, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, গোলাম দস্তগীর গাজী, আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী, সালমান এফ রহমান, কামাল আহমেদ মজুমদার, জুনায়েদ আহমেদ পলক, সোলাইমান সেলিম, বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, জাহাংগীর আলম, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান।

ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। গত বছরের ছাত্র আন্দোলনের সময় সহিংস দমনের ঘটনায় প্রডয় ২০০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়, যা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক সহিংসতার ঘটনাগুলোর একটি।

এর আগে, গত ১৭ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে এবং তাদের ১৮ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয়। বর্তমানে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে আছেন, এবং তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

সবার দেশ/কেএম