Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:০৬, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

কাঁদলেন তুরিন, সান্ত্বনা দিলেন ইনু

কাঁদলেন তুরিন, সান্ত্বনা দিলেন ইনু
ছবি: সবার দেশ

ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, একসময় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) দাপুটে প্রসিকিউটর, বর্তমানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেৎফতার হয়ে আদালতে তীব্র আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। 

বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমানের আদালতে শুনানির সময় তিনি ফুঁপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি ন্যায়বিচার চাই। আমার কোনও রাজনৈতিক পদ-পদবি ছিলো না। আমি শুধু পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছি। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ, হাঁটতে পারি না। তিনি বিচারকের অনুমতি নিয়ে নিজের পায়ে নির্যাতনের চিহ্ন দেখান।

এ সময় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, যিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন, তুরিনকে সান্ত্বনা দেন। 

পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী তুরিনের বক্তব্যকে মিথ্যা ও আদালতে প্যানিক সৃষ্টির প্রচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করেন। শুনানি শেষে আদালত তুরিনকে উত্তরা পশ্চিম থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পুলিশ পাহারায় হাজতখানায় নেয়ার সময় তাকে হাস্যোজ্জ্বল দেখা গেলেও তিনি কোনও কথা বলেননি।

গত ৭ এপ্রিল রাতে উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর রোডের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তুরিন আফরোজকে গ্রেফতার করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থী আব্দুল জব্বারের ওপর হামলার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের হয়। ৮ এপ্রিল আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন, এবং ১২ এপ্রিল রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

তুরিন আফরোজ ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউটর হিসেবে যোগ দেন এবং জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা গোলাম আযমসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা পরিচালনা করে আলোচনায় আসেন। তবে অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী মোহাম্মদ ওয়াহিদুল হকের সঙ্গে সাক্ষাতের অভিযোগে তাকে ট্রাইব্যুনাল থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। ২০১৮ সালে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।

এদিকে, হাসানুল হক ইনুর তুরিনকে সান্ত্বনা দেয়ার ঘটনা রাজনৈতিক মহলে বিশেষভাবে আলোচিত হচ্ছে, কারণ জাসদ আওয়ামী লীগের মিত্র দল হিসেবে পরিচিত। এ মামলার পরবর্তী শুনানি ও তুরিনের ভাগ্য নিয়ে সবার দৃষ্টি এখন আদালতের দিকে।

সবার দেশ/কেএম