Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:২২, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম

দুর্নীতির অভিযোগে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি 

দুর্নীতির অভিযোগে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি 
ফাইল ছবি

বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম দুর্নীতির অভিযোগ তুলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি করেছে। রোববার (২৭ এপ্রিল, ২০২৫) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটি এ দাবি জানায়। 

একই সঙ্গে, তাদের সহকারীদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) তুহিন ফারাবী ও ডা. মাহমুদুল হাসান দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও টেন্ডার সংক্রান্ত তদবির বাণিজ্যে জড়িত ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, মোয়াজ্জেম হোসেন এর মাধ্যমে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা আয় করেছেন। এ অভিযোগগুলো তুহিন ফারাবী ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও উঠেছে।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের পেছনে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছিলো, যা তাদের অনিয়মের সুযোগ করে দিয়েছে। ফলে, দৃষ্টিকোণ থেকে প্রশ্ন উঠেছে— উপদেষ্টারা কি এসব দুর্নীতির দায় এড়াতে পারেন?

বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম বলেছে, নৈতিকতার প্রশ্নে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং নূরজাহান বেগমের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি দুর্নীতিতে জড়িত সকল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এদিকে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে ইতোমধ্যে দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন) মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সংস্থার মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

প্রসঙ্গত, দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবীকে সম্প্রতি দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।

সবার দেশ/কেএম