জয়কে অপহরণ-হত্যাচেষ্টা মামলা
শফিক রেহমানের খালাসে রাষ্ট্রপক্ষের ‘অনাপত্তি’

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী পলাতক হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাংবাদিক শফিক রেহমানের আপিলের শুনানি সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার (২৭ এপ্রিল, ২০২৫) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তারিক এজাজের আদালতে শুনানিতে শফিক রেহমানের আইনজীবী এ মামলাকে ‘হয়রানিমূলক’ আখ্যা দিয়ে খালাসের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এ খালাসের আবেদনে ‘আপত্তি নেই’ বলে জানিয়েছে। রায়ের তারিখ পরে নির্ধারণ করা হবে বলে আদালত জানিয়েছে।
শফিক রেহমানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। তিনি বলেন, এটি জয়কে কথিত অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার মামলা। ভিকটিম নিজে মামলা দায়ের করেননি। পুলিশ অতিরিক্ত উৎসাহে মামলা দায়ের করে। ৯০ বছর বয়সী শফিক রেহমানকে রিমান্ডে নেয়া হয়, কিন্তু কোনও স্বীকারোক্তি পাওয়া যায়নি। মামলায় ১২ জন সাক্ষী দিয়েছেন, জয় নিজেও সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্য গ্রহণের দিন বিচারকের আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ ছিলো। তিনি মামলাটিকে ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ বলে খালাসের আবেদন করেন।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০১১ সালে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতারা যুক্তরাষ্ট্রে জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলো বলে অভিযোগ করা হয়। ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান পল্টন থানায় এ মামলা দায়ের করেন। ২০১৮ সালে শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল হয়। ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর শফিক রেহমান, আমার দেশ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহমেদ (সিজার) এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী মিজানুর রহমান ভূঁইয়াকে দুই ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। মাহমুদুর রহমান ইতোমধ্যে এ মামলায় খালাস পেয়েছেন।
শফিক রেহমান ২০১৬ সালে এ মামলায় গ্রেফতার হন এবং পাঁচ মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পান। পরে তিনি যুক্তরাজ্যে চলে যান এবং ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট দেশে ফিরে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। গত ২১ নভেম্বর তিনি জামিন পান।
সবার দেশ/কেএম