Advertisement

সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:০৯, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫

থাকছে না ধর্মনিরপেক্ষতা

পাল্টে যাচ্ছে দেশের সাংবিধানিক নাম

পাল্টে যাচ্ছে দেশের সাংবিধানিক নাম
ফাইল ছবি

বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ করার সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। আর প্রজাতন্ত্রের পরিবর্তে ‘নাগরিকতন্ত্র’ করার প্রস্তাবও করেছে কমিশন। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেয়া সংস্কারের সুপারিশসংবলিত প্রতিবেদনে এ প্রস্তাব করা হয়েছে।

অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজের নেতৃত্বাধীন সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন জমা দেয়।

বর্তমানে বাংলাদেশের সংবিধানের নাম হিসেবে উল্লেখ আছে, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান’। সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশে সংবিধানের প্রস্তাব হিসেবে বলা হয়েছে, ‘জনগণের সম্মতি নিয়ে আমরা এ সংবিধান জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান হিসেবে গ্রহণ করছি।

দেশের বিদ্যমান সংবিধানে আছে বাংলাদেশ একটি একক, স্বাধীন ও সার্বভৌম প্রজাতন্ত্র, যা ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ নামে পরিচিত হবে।

এ বিষয়ে কমিশনের সুপারিশ, সংবিধানের প্রযোজ্য সব ক্ষেত্রে ‘প্রজাতন্ত্র’ এবং ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ শব্দের পরিবর্তে ‘নাগরিকতন্ত্র’ এবং ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ শব্দ ব্যবহৃত হবে।

তবে ইংরেজি সংস্করণে ‘রিপাবলিক’ ও ‘পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ’ শব্দগুলো থাকছে।

এ ছাড়া নাগরিকত্ব হিসেবে ‘বাঙালি’ বাদ দিয়ে ‘বাংলাদেশি’ করার সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। কমিশন ‘বাংলাদেশের জনগণ জাতি হিসেবে বাঙালি...’ এই বিধান বিলুপ্ত করার সুপারিশ করেছে। তারা বর্তমান অনুচ্ছেদ ৬(২) ‘বাংলাদেশের নাগরিকগণ ‘বাংলাদেশি’ বলে পরিচিত হবেন’ হিসেবে প্রতিস্থাপন করার সুপারিশ করেছে।

এ ছাড়াও বিদ্যমান সংবিধানের চার মূলনীতি থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র বাদ দিয়ে সাম্য, বহুত্ববাদসহ পাঁচটি মূলনীতি করার প্রস্তাব করা হয়েছে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশে। 

মূলনীতিতে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের সুপারিশ করা হয়েছে, যার মেয়াদ হবে চার বছর করে। সংসদের মতো রাষ্ট্রপতির মেয়াদও হবে চার বছর। রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন বৃহত্তর নির্বাচকমণ্ডলীর ভোটে। জীবদ্দশায় দুবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন না। 

সুপারিশে বলা হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ ও স্থানীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে তিনটি অঙ্গের প্রতিনিধির সমন্বয়ে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠিত হবে। 

সংস্কার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, অমানবিক নির্যাতন, অর্থপাচারসহ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কেউ কোনো দলের সদস্য হতে পারবে না। আইসিটি আইনে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচনে অযোগ্য বিবেচিত হবেন। কোনো আসনে মোট ভোটারের ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে পুনরায় নির্বাচন হবে। এমনসব সুপারিশ এসেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত চারটি সংস্কার কমিশনের সুপারিশে।

সবার দেশ/কেএম