Advertisement

এম এম এ শাহজাহান 

প্রকাশিত: ০২:৩৩, ৮ জানুয়ারি ২০২৫

সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী এবং দু’টি কথা

সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী এবং দু’টি কথা
ছবি: সবার দেশ

সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী চেয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আমি খুবই আশাবাদী এবং অত্যন্ত ধনাত্মক মনোভাব আমার এ বিষয়ে। কেননা, এ রকম দল নিরপেক্ষ সরকারের এর অধীনেই এ ধরনের কাজ করা সম্ভব বলে আমি মনে করি। কিন্তু সরকার সময় সম্পদ বিবরণীর হিসাব নিয়ে ইতোমধ্যে দু’দফা  সময় দিচ্ছেন!

সম্পদ বিবরণীর হিসাব নিয়ে সময় দিচ্ছেন! দেখবেন এরই মধ্যে আমলা বাবাজিরা নতুন কোন কৌশলে আদালতে একটি টুক করে মামলা ঠুকে দিবেন। তারপর সে মামলা শেষ হতে হতে এ সরকারের মেয়াদই ফুরিয়ে যাবে। হিসাব আর নেয়া হবে না জীবনেও।

বিবরণী হিসাব জমা দেয়ার ব্যাপার। তাই আমি অত্যন্ত শঙ্কিত বোধ করছি এ ভেবে যে, আবার এমন না হয়  যে, এ যাত্রায়ও এ বিষয়টিতে তারা ফেল করে।

বর্তমান অবস্থা কেটে যাওয়ার পর দেশে নতুন যে রাজনৈতিক সরকার আসবে তারা কখনই আমলাদের বিরুদ্ধে কঠিন কোনও ব্যবস্থা নিবে না। কেননা, তারা তাদের উপর ভর করে রাজনীতিবিদেরা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করে আর বিপরীতে আমলারা তাদের নিজস্ব সুবিধা বৃদ্ধি করতে থাকে।

স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত আমরা এমনটিই হতে দেখে এসেছি আমরা। তাই আমাদের মনে বড় ভয়, যা ক্ষতি হবার সব সময় আমাদের সাধারণ জনতারই হয়।

আমরা কর দেই সরকারকে আর সে করের টাকায় মোচ করে আমলারা। রাজনীতিবিদেরা আমলাদের বাগে রেখে নিজেদের সম্পদ বৃদ্ধি করে।

বর্তমান সরকারের কর্মপরিষদে যারা আছে তাদের কোন উচ্চাভিলাস নেই, থাকার কথাও নয়। তাই তারাই পারবে । তাছাড়া কোন গতানুগতিক রাজনৈতিক সরকারের দ্বারা নৈতিক কোন কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব নয়। এমন কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে আমরা কখনও তা দেখিওনি। নৈতিক সিদ্ধান্তের উপর যদি বহাল থাকতেন আমাদের দেশের বিগত রাজনীতিবিদরা এবং খাঁটি দেশপ্রেমিক হতেন, তাহলে আমাদের দেশের এ করুন অবস্থা কখনোই হতো না।

এখনই সময়, হ্যাঁ এখনই সময় এসেছে ভালো কিছু করার। তাই আমি মনে করি সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংস্কার করে এতে সুন্দর সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়া। তাতে মানুষ স্বাধীনভাবে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। যাকে খুশি সরকারি বেছে নিবে। 

পরবর্তীতে সরকার এসে দেশের স্বার্থ সবার আগে দেখবে এবং জাতীয় স্বার্থের সব সময় সরকার এবং বিরোধীদল একই থাকবে, ঐক্যবদ্ধ থাকবে। যেমনটি থাকে পাশ্চাত্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অনন্য দেশগুলোতে। তখনই কেবল আমরা স্বাধীনতার সত্যিকারে সুফল পাবো । তাই ২০২৪ সালের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে যে সুযোগ এ জাতির কাছে এসেছে, তা হেলায় খেলায় নষ্ট করতে দেয়া যাবে না।

লেখক: মার্কেটিং এডভাইজার, ফাইন গ্রুপ

সম্পর্কিত বিষয়: