সম্পর্কের ইতিকথা
ভেবেছিলাম এ নিয়ে কোন উচ্চবাচ্যই করবো না কখনও। কিন্ত একসময় তাহসানের প্রতি মেয়েদের ক্রাশ খাওয়া নিয়ে লিখেছিলাম তাদের ডিভোর্সের পর। আর সে লিখা তখন খুব ছড়িয়ে পড়েছিলো অনলাইনে। তারই সুত্র ধরে অনেকেই আবার আমি কিছু বলি বা লিখি এমন প্রস্তাব দিচ্ছিলেন।
তো যা বলতে চাচ্ছি...
মানলাম সে যা বলছে তা সত্য। (ছবি দ্রষ্টব্য)
তবে কোন ভাল প্রেমিক ভাল বন্ধু এমনকি ভাল স্বামী কখনোই ব্রেকাপের পর তার প্রাক্তন কে নিয়ে এমন কিছু বলবে না যাতে তার সম্মান ক্ষুন্ন হয়। প্রাক্তন কে ছোট করা মানে নিজেও ছোট হওয়া।
তাদের মধ্যে কী শুধুই তিক্ততা ছিল? তা নয় নিশ্চই। একদিনের জন্য হলেও তো ভাল স্মৃতি আছে তাদের। সে স্মৃতির প্রতি সম্মান রেখে হলেও চুপ থাকা উচিত ছিলো ছেলেটির। এখন সে যা করছে, তা প্রতিহিংসা।
এটি করে সে কী আর মেয়েটির মন ফেরত পাবে? বরং যা কিছু ভাল স্মৃতি ছিলো মেয়েটি এখন তাও ভুলে যাবে।
এ যে আমরা এতো কথা বলছি,হাসা হাসি করছি, আমরা কি পারবো তাদের সম্পর্ক ফিরিয়ে দিতে?
পারবো না, কিছুদিন পর সবাই ভুলেও যাবো।
বেলালও সব ভুলে বাঁচবে অন্য কিছু নিয়ে। কিন্ত তার প্রেমিক হৃদয় মরে গেল। বেঁচে রইল প্রতিহিংসা।
এ প্রতিহিংসার ভার প্রকৃতিই বইবে শুধু। কারন প্রকৃতির মুখ নেই ভাল বা মন্দ বলার। শুধু নিরবে দেখে যায় সে।
হে মানব সম্প্রদায় আপনাদের প্রতি অনুরোধ আপনারা পারলে নিঃশর্ত ভালোবাসবেন। নয়তো বিদ্বেষ থেকে দূরে থাকবেন। ভেবে দেখুন আপনার পরবর্তী প্রজন্ম কিন্ত এখানেই বেড়ে উঠবে,তারা কিন্ত সে প্রতিহিংসার বায়ু গায়ে মেখেই বড় হবে।
আর মেয়েদেরকেও বলবো, তোমরাও আগে থেকেই সাবধান হয়ে নাও। শিক্ষা নাও রোজার জীবন থেকে। এমন প্রেমিক নয় বছর কেন নয় মাসও পোষা উচিত নয়, যে কিনা তোমায় সুযোগ পেলেই অসম্মান করে বসবে পুরো জগতের কাছে।
ভেবেছিলাম এই বিষয় নিয়ে কিছু লিখবো না। জগতে অনেক বিষয় আছে, অথবা ঘটছে যা বলার সময় নেই হাতে। কিন্ত অনেকের অনেক আবদারে দু’কথা লিখলাম, বিক্ষিপ্ত মন নিয়ে।
সব শেষে বলবো, সকল সম্পর্কের-ই শুরু আছে শেষ ও আছে (শুধু মা বাবা আর ভাইবোন সম্পর্ক ছাড়া)। তো একটি সম্পর্ক শেষ হয়ে গেলে যারা তা নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি করে তারা, আসলে কখনোই ভাল প্রেমিক প্রেমিকা অথবা ভাল স্বামী স্ত্রী ছিলোই না। যা ছিলো তা শুধুই স্বার্থের টান। আর সে টান এতোই বেশি ছিলো যে ছিঁড়ে হল খান খান।
লেখক: অভিনয় শিল্পী