Advertisement

জয়নুল আবেদীন


প্রকাশিত: ২১:৩৩, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ২১:৩৬, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫

ড. ইউনূসের সংস্কার, আমাদের করণীয় 

ড. ইউনূসের সংস্কার, আমাদের করণীয় 
ফাইল ছবি

সমাজ বিজ্ঞানে পেয়েছি, বাঙালি সঙ্কর জাত। একজন অন্যজনকে বিশ্বাস করে না, সহজে মানতেও চায় না। কারণ যখনই যাকে বিশ্বাস করেছে তখনই সে বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে ঠকিয়েছে। তারপরেও অনেকের বিশ্বাস, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান বিগত সরকার থেকে ভিন্ন। সে বাঙ্গালীদের ঠকাবে না। আশীতিপর বয়ষ্ক লোকটির দ্বারা বাঙালির ভাগ্য বদলাতেও পারে।

‘সবাইকে খুশি করা যায় না’, এ কথাটির উদাহরণ দিতে গিয়ে আমরা প্রায়শই পিতা-পুত্রের গাধা বিক্রির একটা উপমা ব্যবহার করে থাকি। পিতা পুত্র সবাইকে খুশি করতে গিয়ে গাধাটি আর বাজারে বাজারে নিতে পারেনি, পথেই জলে ডুবিয়ে মেরেছিল। আমার বিশ্বাস, এ অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার নিয়েও অনেকে তর্ক করবে। তর্ক যত কম হবে তত উত্তম। 
 
যখন যারা ক্ষমতায় এসেছে তখন তারা 'নির্বাচন কমিশন', 'দুদক', 'পুলিশ বিভাগ' ও 'সংবিধান' নিজেদের ইচ্ছামতো পরিচালনা করতে গিয়ে সংশোধন সংযোজন করে জগাখিচুড়ি করে রেখে গেছে। এক কথায়, ‘উলট পালট করে দে মা চেটেপুটে খাই’। চেটেপুটে খেতে গিয়ে রাষ্ট্রের যে হাল করে রেখেছে তা ঠিক না করে ফেরেশতা এনে ক্ষমতায় বসালেও যেই লাউ সেই কদু হয়ে পড়বে। এরপরও রয়েছে পরাজিত শক্তিশালী শত্রু পক্ষ। গোখরো সাপের মতো ফোসফোস করছে।   সুযোগ পেলেই ছোবল মারবে । 

আর্র পড়ুন>> সংস্কার প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই নতুন বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা

তাই অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান নিম্নে উল্লেখিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দিয়ে উপরে বর্ণিত বিষয়গুলো সংস্কার করেছেন। সুধীজনের বিশ্বাস, বাঙালি জাতি এ সংস্কার অনুসরণ করলে ঠকবে না।

মানুষের যত রকমের সমস্যা তত রকমের আইন করতে গেলে কয়েক ডজন মহাভারত সমান লেখা লিখেও শেষ করা যাবে না। ইসলাম ধর্মের যেমন একটা শেষ কথা আছে ‘পরের হক মারবো না নিজের হক ছাড়বো না’ তেমনই আইনেরও একটা শেষ কথা, অন্যের ক্ষতি করব না, ক্ষতির কারণও হবো না। 
তাই আমাদের উচিত, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের সুখ স্বস্তির কথা চিন্তা করে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার মেনে নেয়া।    
  
১। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুদার
 
২। দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান
 
৩। পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন এবং

৪। সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ।

তারা সবাই প্রধান উপদেষ্টার হাতে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সংস্কার প্রতিবেদন তুলে দেন। এসময় সংশ্লিষ্ট কমিশনের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

লেখক : আইনজীবী ও কথাসাহিত্যিক