শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তো কেবল বিএনপির নন, তিনি সকলের
জিয়াকে নিয়ে বিএনপির মগ্নশৈলে হোঁচট
বইয়ের মুখ্যউপজীব্য বিষয় ছিলো শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। লেখক তাকে ইতিহাসের মগ্নশৈল বলতে চেয়েছেন। এদেশের রাষ্ট্রপরিচালনায় যারা ভবিষ্যত নাবিক হবেন, তার একটু অসেচতন হলেই মগ্নশৈলে আঘাত পেয়ে ভেঙ্গে চুরমার হবেন।

‘মগ্নশৈল’ নামে একটি বই খুব দ্রুত প্রকাশিত হবে। বইটি নিয়ে লেখক আব্দুল মাজেদ আমার সাথে একাধিকবার কথা বলেছেন। তার এ বইয়ের খসড়া প্রচ্ছদও আমাকে দেখিয়েছেন।
মগ্নশৈল শব্দটির অর্থ হলো জলমগ্ন শৈল বা পাথর, অর্থাৎ সমুদ্র বা বড় জলাশয়ের নিচে ডুবে থাকা পাথর বা শিলা। এটি সাধারণত সেসব পাথরকে বোঝায়, যা পানির ওপরে দৃশ্যমান নয় কিন্তু অসচেতন নাবিকদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
বইয়ের মুখ্যউপজীব্য বিষয় ছিলো শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। লেখক তাকে ইতিহাসের মগ্নশৈল বলতে চেয়েছেন। এদেশের রাষ্ট্রপরিচালনায় যারা ভবিষ্যত নাবিক হবেন, তার একটু অসেচতন হলেই মগ্নশৈলে আঘাত পেয়ে ভেঙ্গে চুরমার হবেন। চমৎকার বিষয়বস্তু হবার কারণে আমি খুব আগ্রহী হলাম। এ বইয়ের মধ্যে আমার একটি ছোট্ট লেখা অন্তর্ভুক্ত করতে অনুমতি দিলাম।
কয়েকদিন পরে বইয়ের লেখক জানালো শহীদ জিয়াকে নিয়ে বইয়ের কারণে তিনি বিএনপির দায়িত্বশীল মানুষের সাথে কথা বলেছেন। বিএনপির সে দায়িত্বশীল মানুষটি লেখককে তার বইয়ের খসড়া পাণ্ডুলিপি পাঠাতে বলেছেন। তার বইয়ের পাণ্ডুলিপির ‘অনুমতি’ সাপেক্ষে প্রকাশের কথা বলেছেন। লেখক এতে বিব্রত হয়েছেন।
আরও পড়ুন<<>> জিয়াই বাংলাদেশের প্রথম শপথবিহীন রাষ্ট্রপতি
তিনি তার সিদ্ধান্ত পাল্টে নতুন মোড়কে ও আঙ্গিকে বইটি প্রকাশ করছেন এবং আমাকে তা জানিয়েছেন। আমি বিস্মিত হয়েছি।
ঘটনার পূর্বাপর জানার পরে আমি বললাম, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তো কেবল বিএনপির নন। তিনি সকলের। তাকে নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ যতবেশি হবে তিনি ততবেশি জনতার জিয়া হবেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকেও ব্র্যাকেটবন্দী করতে তৎপর বিএনপির কিছু তেলবাজ। তারা জিয়াউর রহমানকেও মুজিবের পরিণতির কাছাকাছি নিতে তৎপর।
আওয়ামী লীগের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান কেবল আওয়ামী লীগের নেতা হয়েই থাকলেন স্বীয় দলের সুবিধাভোগী নেতার ব্যাক্তিস্বার্থের কারণে। তাকে জনতার মাঝে বিচার বিশ্লেষণ করতে না দিয়ে মহাপুরুষ বানানোর জন্য আওয়ামী লীগ আজ বিলুপ্ত প্রায়।
লেখক: সরকারি কর্মকর্তা ও গবেষক