পোশাকের রঙ, ডিজাইন, লোগো ঐকমত্যের ভিত্তিতে ঠিক করা যেতে পারে
ফ্যাসিস্ট আইকন পুলিশ-র্যাবের পোশাক পরিবর্তনকে অভিনন্দন!
শুধু পোশাক পরিবর্তনেই পুলিশের আচরণগত পরিবর্তন আসবে, এমনটাও ঠিক নয়। উন্নত বিশ্ব থেকে পেশাদার পুলিশের প্রশিক্ষক এনে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আমাদের পুলিশবাহিনীকে মনস্তাত্ত্বিক থেরাপি দেয়াটাও জরুরি। তাদের আচরণগত পরিবর্তন না আনলে শুধু পোশাক পরিবর্তন হবে অর্থহীন।
বিশ্বের ইতিহাসে যখন স্বৈরশাসনের কথা আসে, তখন অনেক সময়ই দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এক ভয়ঙ্কর দানবের মতো দেখা হয়। তাদের কর্তৃত্ব, নির্দয়তা এবং জনগণের উপর দমনমূলক আচরণ প্রায়ই ফ্যাসিস্ট সরকারের স্বার্থে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে ভয়ঙ্কর এ দানবদের ভয়ংকর কর্মকান্ড রূপকথার গল্পকেও হার মানায়।
স্বৈরশাসনের পরিবেশে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের কঠোরতা এবং নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য বিশেষ পোশাকের পরিধান করে থাকে। এ পোশাকের মধ্যে সাধারণত পুলিশ বা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জন্য নির্দিষ্ট বাহিনীর চিহ্ন এবং শক্তিশালী প্রতীক থাকে, যা জনগণের কাছে একটি ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে কাজ করে। তবে কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে এ পোশাক জনগণের মাঝে আতঙ্ক এবং শোষণের অনুভূতি সৃষ্টি করে, যা সরকারের কাছে বড় একটা সংকট তৈরি করতে পারে। সে অভিজ্ঞতাকে কেন্দ্র করেই, স্বৈরশাসনের সময় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু পোশাক পরিবর্তন বা বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পোশাক বা ইউনিফর্ম একটি বিশেষ প্রতীক হয়ে ওঠে। বিশেষত, যখন এ বাহিনীগুলো জনগণের উপর দমন-পীড়ন চালায়, তখন তাদের পোশাকই হয়ে ওঠে তাদের শক্তির প্রতীক, অনাচারের প্রতীক, হিংস্রতার প্রতীক। পোশাকের ব্যবহার শুধুমাত্র শাসক শ্রেণির প্রতিপক্ষের ওপর শাসন প্রতিষ্ঠা নয়, বরং মানুষের মনোসামাজিক পরিস্থিতিতে উদ্বেগ, ভয় এবং আতঙ্ক তৈরির জন্যও ব্যবহৃত হতে পারে।
এমনি এক পরিস্থিতির মধ্যে সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কমিটির সুপারিশ মোতাবেক একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, যেখানে স্বৈরশাসন চলাকালীন বাহিনীর পোশাকটি পরিবর্তনে করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তটি শুধু আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পোশাক পরিবর্তন নিয়ে নয়, বরং এটি দেশটির রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন সূচিত করেছে।
স্বৈরশাসনের যুগে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা
স্বৈরশাসনের যুগে, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শুধু আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার কাজই করেনি, তারা ছিল সরকারের জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করে রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। সাধারণ মানুষকে দমন করা, তাদের মৌলিক অধিকার খর্ব করা এবং সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা ছিলো তাদের প্রধান কাজ। তারা ছিল রাষ্ট্রের মুষ্টি, যা জনগণের ওপর শক্তি প্রয়োগ করে, ভীতির পরিবেশ তৈরি করে এবং বিরোধীদের দমন করে।
এ সময়ে বাহিনীর সদস্যরা বিশেষ ধরনের পোশাক পরতেন, যা তাদের শক্তি এবং কর্তৃত্বের প্রতীক হিসেবে গণ্য হতো। বিশেষত, এ পোশাকগুলির মধ্যে ছিল কালো ইউনিফর্ম, হেলমেট, সুরক্ষা গ্লাভস, ও বিশেষ ধরনের অস্ত্র। এ পোশাক জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির কাজ করতো। তবে, মানুষ যখন একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ করেছিলো, তখন এ পোশাক আরও ভয়ানক হয়ে উঠতো।
পোশাকের গুরুত্ব ও প্রভাব
আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পোশাকের একটি বিশেষ প্রভাব ছিলো জনগণের মনস্তাত্ত্বিক। একদিকে যেমন এটি বাহিনীর শক্তি এবং কর্তৃত্বের চিহ্ন ছিলো, অন্যদিকে এটি জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতো। তাদের ভয়ে জনগণ প্রতিবাদ করতে সাহস পেতো না, নিজেদের কথা বলতে ভয় পেতো। তারা জানতো, বাহিনীর সদস্যরা যখন এ পোশাক পরেন, তখন তারা এক দানবীয় শক্তির প্রতিনিধিত্ব করেন। এ পোশাক পড়ে তারা নিরস্র জনগণর ওপর হায়েনার মতো ঝাপিয়ে পড়েছিলো। হত্যা করেছিলো হাজার হাজার শিশু, কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ। পোশাকের ধরন, রং, ডিজাইন, এবং বাহিনীর চিহ্ন জনগণের কাছে অপ্রত্যাশিত ভয় এবং বিরোধী শক্তির উপস্থিতি অনুভূতি জাগিয়ে তোলে। এর ফলে এক ধরনের হিংস্র ক্ষমতার প্রকাশ ঘটে যা জনগণের মনে ভয় এবং শোষণের অনুভূতি সৃষ্টি করে। এখন তাদের এ পোশাক পরিহিত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দেখলেই অনেকের স্বজন হত্যাকারীর কথা মনে হয়। সামনে দাঁড়ানো মার্জিত পুলিশকে দেখলেও ঘৃণায় শরীর রিঁরিঁ করে। তাদের আর জনগণের বন্ধু ভাবতে ইচ্ছে করেনা, শ্রদ্ধার চোখে দেখতে ইচ্ছে করেনা।
তবে, এটি কেবল বাহিনীর প্রতি জনগণের ভীতি সৃষ্টি করেছিলো এমন নয়, বরং এতে বাহিনীর সদস্যদের মনোভাবও বদলে গিয়েছিলো। অনেক সময় এ পোশাক তাদের মধ্যে ক্ষমতার অযথা ব্যবহার ও স্বেচ্ছাচারিতা তৈরি করতে সহায়ক হতো। তারা নিজেদেরকে অধিক ক্ষমতাধর মনে করতো এবং জনগণের প্রতি সহানুভূতির বদলে দমনমূলক আচরণে উদ্বুদ্ধ হতো।
পোশাক বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত
পরিস্থিতি যখন অত্যধিক কঠোর এবং অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে, তখন সরকার বা শাসকরা এ পোশাকের পরিবর্তন অথবা বাদ দেয়ার কথা চিন্তা করতে পারে। এটি একদিকে যেখানে জনগণের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, সেখানে অন্যদিকে জনগণের মধ্যে বিদ্বেষ এবং বিরোধী মনোভাবও সৃষ্টি করে। উদাহরণস্বরূপ, যখন পুলিশ বা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের অত্যধিক শক্তিশালী পোশাক পরিধান করে, তখন সাধারণ মানুষের মধ্যে এটিকে শাসকের প্রতি একধরনের বিরোধিতা হিসেবে দেখা যায়। এ কারণে, কিছু সরকার এ পোশাকের পরিবর্তন বা বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, যাতে জনগণের মধ্যে দমনপীড়নের অনুভূতি কমানো যায় এবং এক ধরনের জনসমর্থন সৃষ্টি করা যায়।
এ পরিবর্তন জনগণের কাছে বড় ধরনের এক ইতিবাচক সংকেতও হতে পারে। এটি জানিয়ে দিতে পারে যে সরকার জনগণের সঙ্গে যোগাযোগের পথ খুলতে চায় এবং কঠোর শাসনব্যবস্থা আর জনগণের ওপর দমনপীড়নকে দূরে রাখতে চায়। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যখন সাধারণত পরিচিত পোশাক থেকে বেরিয়ে আসে, তখন তা জনগণের মধ্যে বিশ্বাস এবং সমর্থন অর্জনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।
সম্প্রতি সরকার গঠিত সংস্কার কমিটির সুপারিশে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, স্বৈরশাসন চলাকালীন সময়ের আইনি শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওই অভিশপ্ত পোশাকগুলো আর পরিধান করা হবে না। এ সিদ্ধান্তটির পেছনে রয়েছে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, বৈষ্যিক এবং মনস্তাত্ত্বিক কারণ।
প্রথমত, এ পোশাকগুলো জনগণের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে। যখন জনগণের মধ্যে ভয় থাকে, তখন তারা নিজেদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। তারা নিজেদের ভাবনাগুলো প্রকাশ করতে ভয় পায় এবং প্রতিরোধ করার সাহস হারিয়ে ফেলে। এমন পরিস্থিতি স্বৈরশাসনের জন্য সুবিধাজনক, তবে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এটি কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।
দ্বিতীয়ত, বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে এ পোশাক তাদের মনোভাবের উপর প্রভাব ফেলেছে। অনেক সময় এ পোশাক তাদের মধ্যে অহংকার এবং ক্ষমতার অপব্যবহার সৃষ্টি করত। পোশাকের পরিবর্তন তাদের মনোভাবকে এক ধরনের মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে সহায়ক হবে এবং তারা আরো বেশি জনসেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে সক্ষম হবে।
তৃতীয়ত, এ পোশাকের পরিবর্তন জনগণের প্রতি পুলিশের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনও নির্দেশ করে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ শুধুমাত্র জনগণকে দমন করা নয়, বরং জনগণের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এ পরিবর্তন বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ এবং কাজের ধরনে একটি মৌলিক পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দেয়।
সরকারের পদক্ষেপ এবং জনগণের প্রতিক্রিয়া
সরকার এ নতুন সিদ্ধান্তের সঙ্গে নিজেদের জনপ্রিয়তা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছে। একাধিক রাজনীতিবিদ এবং মানবাধিকার সংস্থার পক্ষ থেকে এটি সাধুবাদ পেয়েছে। তারা মনে করেন, এটি একটি বড় পদক্ষেপ, যা দেশের সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষায় সহায়ক হবে। জনগণ এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখবে, কারণ এতে জনগণের মধ্যে আস্থা ফিরে আসতে পারে। বিশেষ করে, যারা স্বৈরশাসনের কঠোরতার শিকার হয়েছেন তারা এই পরিবর্তনকে একটি মুক্তির চিহ্ন হিসেবে অনুভব করতে পারে।
তবে, কিছু সমালোচক এ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করেন, শুধুমাত্র পোশাক পরিবর্তন করে বাহিনীর আচরণ পরিবর্তন সম্ভব নয়। শাসকরা হয়তো এটি শুধুমাত্র একটি কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছে। তাদের মতে, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে শুধু বাহিনীর পোশাক পরিবর্তন নয়, বরং বাহিনীর প্রশিক্ষণ, তাদের আচরণ এবং মনোভাবের পরিবর্তনও অত্যন্ত জরুরি।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রভাব
এমন সিদ্ধান্ত শুধু অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেই নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষত, যখন কোনো দেশের সরকার আন্তর্জাতিকভাবে নিপীড়নের অভিযোগের সম্মুখীন হয়, তখন এই ধরনের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মহলে একটি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এটি সে সরকারের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি এবং স্বৈরশাসন বিরোধী অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত হতে পারে।
আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ
পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত যদিও একটি বড় পদক্ষেপ, তবে এটি জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য যথেষ্ট নয়। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আরও মানবিক, জনবান্ধব এবং সমালোচনামূলক দৃষ্টিকোণ থেকে কাজ করতে হবে। জনগণের প্রতি তাদের আচরণ আরও সদয়, সহানুভূতিশীল ও সুষ্ঠু হতে হবে। শুধু বাহিনীর পোশাক নয়, তাদের মনোভাবের পরিবর্তন এবং তাদের কার্যক্রমের প্রতি জনগণের বিশ্বাসও পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এর পাশাপাশি, সরকারকে জনগণের উপর বাহিনীর ক্ষমতার ব্যবহার কেমন হবে, তা নির্দিষ্ট করে আইনগত কাঠামো তৈরি করতে হবে। শুধু বাহিনীর পোশাক পরিবর্তন করে নয়, বরং সমগ্র আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থার মধ্যে সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে, যাতে জনগণ তাদের অধিকার ভয় ছাড়া চর্চা করতে পারে।
উপসংহার
স্বৈরশাসনকালীন সময়ের অভিশপ্ত পোশাকের পরিবর্তন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজের ধরণ, তাদের জনগণের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটাতে সাহায্য করবে। কোনও পোশাক এবং স্ট্যাচু যদি ফ্যাসিবাদের আইকন হিসেবে জনগণের নিকট প্রতীয়মান হয়, সেটা পরিবর্তন তখন অত্যাবশ্যক হয়ে যায়। আমাদের র্যাবের কালো পোশাক এখন আন্তর্জাতিক স্যাংশন খাওয়া গুম খুনের প্রতীক। এমন পরিবর্তন আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া বিবেচনায় নিয়েও নেয়া হয়।
শুধু পোশাক পরিবর্তনেই পুলিশের আচরণগত পরিবর্তন আসবে, এমনটা ভাবাও টিক নয়। উন্নত বিশ্ব থেকে পেশাদার পুলিশের প্রশিক্ষক এনে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আমাদের পুলিশবাহিনীকে মনস্তাত্ত্বিক থেরাপি দেয়াটাও জরুরি। তাদের আচরণগত পরিবর্তন না আনলে শুধু পোশাক পরিবর্তন হবে অর্থহীন। তবে পোশাক পরিবর্তন পুলিশ বাহিনীর ওপর সরকারের একটা মনস্তাত্ত্বিক পজেটিভ প্রেসার এটা যে, সরকার পুলিশের কাছ থেকে আচরণগত পরিবর্তন আশা করছে। পোশাকের রঙ, ডিজাইন, লোগো নিয়ে আলোচনা সমালোচনা থাকতে পারে। সেটা ঐকমত্যের ভিত্তিতে ঠিক করে নেয়াও যেতে পারে। কিন্তু পরিবর্তন জরুরি।
এ পরিবর্তন কেবলমাত্র একটি সূচনা। পুরো সমাজের মধ্যে সুষ্ঠু আইনশৃঙ্খলা এবং মানুষের অধিকার রক্ষায় আরো অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এটি একটি সংকেত হতে পারে যে সরকার জনগণের প্রতি তাদের দমনপীড়ন কমাতে চাচ্ছে এবং জনগণের কাছে তাদের শাসন ব্যবস্থা আরও গ্রহণযোগ্য করার চেষ্টা করছে। তবে, এ পদক্ষেপের সঠিক ফলাফল নির্ভর করবে এর বাস্তবায়ন, জনগণের মনোভাব, এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কিভাবে এটি গ্রহণ করা হয় তার ওপর।
লেখক: কবি, গীতিকার ও সংবাদকর্মী