Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:০০, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

হাসিনা ৩২ নম্বর গুড়িয়ে দেয়ার উস্কানি দিয়েছেন: আসম রব

শেখ হাসিনা অবৈধ ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করতে বঙ্গবন্ধুকে জনগণের ক্ষোভের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছিলেন। এখনও পলায়নরত থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ও উদ্ভট বক্তব্য প্রদান করে বঙ্গবন্ধুর মর্যাদার অবশিষ্টাংশও ধূলিসাৎ করার এবং ৩২ নম্বর গুড়িয়ে দেয়ার উস্কানি দেন। 

হাসিনা ৩২ নম্বর গুড়িয়ে দেয়ার উস্কানি দিয়েছেন: আসম রব
ফাইল ছবি

ভারতে পলাতক ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বক্তব্য দিয়ে ৩২ নম্বর গুড়িয়ে দেয়ার উস্কানি দেন বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেন তিনি।

আবদুর রব বলেন, গণতান্ত্রিক কিংবা স্বৈরাচারী ইতিহাসের উদ্ভব, উত্থান, রূপান্তর, এবং পতনের পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন- পরবর্তী প্রজন্মের কাছে উত্থাপন করাই ঐতিহাসিক কর্তব্য। এ পরিস্থিতিতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শক্তির নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা যে কোন মূল্যে প্রতিহত করতে হবে। 

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা অবৈধ ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করতে বঙ্গবন্ধুকে জনগণের ক্ষোভের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছিলেন। এখনও পলায়নরত থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ও উদ্ভট বক্তব্য প্রদান করে বঙ্গবন্ধুর মর্যাদার অবশিষ্টাংশও ধূলিসাৎ করার এবং ৩২ নম্বর গুড়িয়ে দেয়ার উস্কানি দেন। 

৩২ নম্বর বাড়িটির যুগপৎ দুই কারণে ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একদিকে ৩২ নম্বর যেমন ছিলো স্বাধিকার ও স্বাধীনতা-সংগ্রামের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র, তেমনি মুক্তিযুদ্ধের পর এর বিপরীতে এটা ছিলো একনায়কতান্ত্রিক শাসন ও বাকশালের নিদর্শন। ইতিহাসের স্বার্থেই ৩২ নম্বর স্বাক্ষী হয়ে আছে। 

ইতিহাসের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো স্থাপনা ভেঙে দেয়া বা গুড়িয়ে দেয়ার চেয়েও আরো বেশি প্রয়োজন হচ্ছে ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক ও সমাজশক্তির ঐক্যের ভিত্তিতে বিকল্প রাজনৈতিক কেন্দ্র গড়ে তোলা। এ নতুন দেশজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থার বিপরীতে অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে উঠবে। এটাই হবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ। 

‘স্বাধীনতা-সংগ্রাম’ এবং ‘স্বাধীনতা পরবর্তী’ ক্ষমতাকেন্দ্রিক দুঃশাসনের প্রতীক হিসেবে ভবিষ্যতের ঐতিহাসিক গবেষণার অনিবার্য কারণে ৩২ নম্বর ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে থাকবে বলেও মন্তব্য করেন আবদুর রব।

সবার দেশে/এমকেজে