‘শয়তানের খোঁজ’ নিয়ে মুখ খুললেন হাসিনা
‘আবার আসিবো ফিরে’

আওয়ামী লীগের একজনের মিডিয়া স্ট্রীমে ভারতে পলাতক খুনি হাসিনার বক্তৃতা সরাসরি সম্প্রচার করা হয় সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি)। বক্তৃতা শেষে বাংলাদেশের কিছু সাধারণ মহিলার সঙ্গেও কথা বলেন এ সাইকো হাসিনা। তাদের ধৈর্য ধরতে বললেন তিনি।
অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হলে বাংলাদেশে ফিরতে চান, জানিয়েছেন তিনি। সোমবার রাতে দেশবাসীর উদ্দেশে এক ভার্চুয়াল বার্তায় সেটিই বোঝানোর চেষ্টা করলেন আওয়ামী লীগ নেত্রী খুনি হাসিনা। আওয়ামী লীগের মিডিয়া স্ট্রীম থেকে হাসিনার বক্তৃতা সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। তার বক্তৃতার পর কয়েকজন সাধারণ মহিলার সঙ্গেও কথা বলেন ফ্যাসিস্ট হাসিনা। আওয়ামী লীগের দাবি, ওই মহিলারা বাংলাদেশে জুলাই আন্দোলনের সময়ে আক্রান্ত পুলিশকর্মীদের পরিবারের সদস্য। কথাবার্তার সময়ে এক পুলিশকর্মীর বিধবা স্ত্রী হাসিনাকে জানান, তার স্বামী কিছুই রেখে যাননি পরিবারের জন্য। ঘরে সন্তান রয়েছে। এ অবস্থায় হাসিনার সাহায্য প্রার্থনা করেন ওই মহিলা। জবাবে হাসিনা বলেন, অবশ্যই আমি (সাহায্য) করবো। আমি আসবো।
আওয়ামী লীগের দাবি গত বছরের জুলাই-অগস্ট মাসের আন্দোলনের সময়ে আক্রান্ত পুলিশকর্মীদের পরিবারের সদস্যেরা বিচার পাচ্ছেন না বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে। তাদের উদ্দেশে হাসিনা আশ্বাস দেন, ওই পরিবারগুলোও ন্যায়বিচার পাবে। তিনি বলেন, আমি আছি। আমি অবশ্যই এর বিচার কোনও না কোনও দিন করবো। ওরা (অন্তর্বর্তী সরকার) যতই দায়মুক্তি দিক, এ হত্যার দায়মুক্তি হয় না। হত্যার বিচার হয়। আমার বাবা-মা, তিন ভাইকে যখন হত্যা করেছিলো, তখনও দায়মুক্তি দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু আমি তাদের বিচার করেছি। এ পুলিশহত্যার বিচারও আমি করবো একদিন।
বস্তুত, বাংলাদেশে গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসের আন্দোলন এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। ওই রিপোর্টে জাতিসংঘ মনে করছে, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী খুনি হাসিনার সরকার মানবতাবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত ছিলো। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের হাইকমিশনার ভালকার টুর্কের মতে, ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার নৃশংস পদক্ষেপ নিয়েছিলো।
জাতিসংঘের ওই রিপোর্ট নিয়ে যখন আলোচনা চলছে, ঠিক সে সময়ে ফের হাসিনার মুখে এমন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সোমবার রাতে ওই ভার্চুয়াল আলোচনায় হাসিনা পুলিশ পরিবারের সদস্যদের আশ্বাস দেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির যা যা সাহায্য প্রয়োজন, তা করা হবে। তবে এর জন্য কিছুটা সময় লাগবে বলেও জানান তিনি। আওয়ামী লীগের নেত্রী বলেন, ধৈর্য ধরুন, অপেক্ষা করুন। যখন আমি দেশে ফিরতে পারবো, প্রত্যেকটি পরিবারকে সাহায্য করবো। হত্যাকারীদের বিচারও করবো।
দেশে চলমান অপারেশন ডেভিল হান্ট দুষ্কৃতিকারীদের পাকড়াও করতে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। গোটা বাংলাদেশ জুড়ে হাজার হাজার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা নিয়েও মুখ খোলেন হাসিনা। কোন ‘শয়তানের খোঁজ’ চলছে, কে ‘শয়তান’, তা নিয়ে প্রশ্ন ফ্যাসিস্ট হাসিনার। তিনি বলেন, এখন শুরু হয়েছে অপারেশন ডেভিল হান্ট। কে ডেভিল, কাকে খুঁজছে? আন্দোলনের সময়ে মৃত পুলিশকর্মীদের পরিবারের পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে হাসিনার অভিযোগ, অন্তর্বর্তী সরকার দেশ চালাতে ‘ব্যর্থ’।
সবার দেশ/এমকেজে