Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১:২৯, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ১১:৩০, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের শোক

বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান আর নেই

১৯৯১ সালে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থেকে প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন আবদুল্লাহ আল নোমান। দ্বিতীয়বার ২০০১ সালে তিনিিএমপি নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর মৎস্য মন্ত্রণালয় এবং ২০০১ সালে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান আর নেই
ফাইল ছবি

বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।

পারিবারিক ও দলীয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আবদুল্লাহ আল নোমানের বয়স হয়েছিলো ৮২ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন।

১৯৯১ সালে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবদুল্লাহ আল নোমান। দ্বিতীয়বার ২০০১ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর মৎস্য মন্ত্রণালয় এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের শোক

আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রমহান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।  তিনি 

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবীর খান বলেন, আজ ভোরে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন আবদুল্লাহ আল নোমান। দ্রুত রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার দাফন-কাফনের ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।

এদিকে, আজই চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সমাবেশে প্রধান বক্তা থাকার কথা ছিলো আবদুল্লাহ আল নোমানের। তার মৃত্যুর পর এ সমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

ষাটের দশকের শুরুতে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে নোমান যোগ দেন ছাত্র ইউনিয়নে। মেননপন্থি ছাত্র ইউনিয়নের চট্টগ্রাম মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

ছাত্রজীবন শেষে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর হাত ধরে যোগ দেন শ্রমিক রাজনীতিতে। পূর্ববাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সহসভাপতি ছিলেন। গোপনে ভাসানীপন্থি ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত হন। ১৯৭০ সালে তাকে ন্যাপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। যুদ্ধ শেষে আবারও ন্যাপের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকেন। জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠনের পর ১৯৮১ সালে যোগ দেন দলটিতে।

সবার দেশ/এমকেজে