খালেদা জিয়া লন্ডন যাচ্ছেন ৭ জানুয়ারি
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য আগামী ৭ জানুয়ারি লন্ডন যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক মোহাম্মদ আল মামুন। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সময় সংবাদকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ৭ জন চিকিৎসকসহ ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল লন্ডন যাবে।
বেগম জিয়ার প্রতিনিধিদলে রয়েছেন—বেগম জিয়ার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. মো. এনামুল হক চৌধুরী, তাবিদ মোহাম্মদ আওয়াল, ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ সিদ্দিক, মো. শাহাবুদ্দীন তালুকদার, নুরুদ্দীন আহমাদ, মো. জাকির ইকবাল, মোহাম্মদ আল মামুন, শরিফা করিম স্বর্ণা, চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এবিএম আব্দুস সাত্তার, মো. মাসুদুর রহমান, এসএম পারভেজ, ফাতেমা বেগম এবং রুপা শিকদার।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর অধ্যাপক জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে প্রথমে ‘লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখান থেকে তাকে তৃতীয় একটি দেশে মাল্টিডিসিপ্ল্যানারি মেডিকেল সেন্টারে নেয়া হবে।
৭৯ বছর বয়সি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন। অনেক আগে থেকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে লন্ডনে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট সংক্রান্ত দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পরে ২০২০ সালের মার্চে তৎকালীন আওয়ামী সরকার নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে বেগম জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেয়। প্রতি ছয় মাস পরপর তার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
পরবর্তী সময়ে সরকারের নির্বাহী আদেশে তার জেলমুক্তি হলেও খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। গুরুতর অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য বারবার আবেদন করার পরও তা নানা অজুহাতে প্রত্যাখ্যান করে সাবেক সরকার। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিন (৬ আগস্ট) বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির আদেশ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়া সব অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের বড় ছেলে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৬ বছর ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন। সর্বশেষ ২০১৭ সালে লন্ডনে মা-ছেলের সাক্ষাৎ হয়। দীর্ঘ আট বছর পর আবার মা-ছেলের সাক্ষাৎ হতে যাচ্ছে। খালেদা জিয়ার এই সফরে তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে বিএনপির দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
সবার দেশ/এওয়াই