Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৫:১০, ৬ মার্চ ২০২৫

আপডেট: ০৫:১৭, ৬ মার্চ ২০২৫

সারজিস আলমের ওপর হামলার অভিযোগ

সারজিস আলমের ওপর হামলার অভিযোগ
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হামলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। হামলার অভিযোগ নিয়ে তিনি ও তার অনুসারীরা ভাটারা থানায় যান বলে জানা যায়।

বুধবার গভীর রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এ ঘটনা ঘটে। 

এদিকে পালটা অভিযোগ নিয়ে থানায় অবস্থান করছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীও।

ভাটারা থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, পালটাপালটি অভিযোগ নিয়ে দুই পক্ষ থানায় এসেছে। সারজিস আলমও আছেন। দুই পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলছি।

তাদের হামলা ও পালটা হামলার বিষয়ে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, সারজিস আলম তার অনুসারীদের নিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি সড়কে কথা বলার সময় দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে ধাক্কা-পালটা ধাক্কা ও হাতাহাতি শুরু হয়।

এ বিষয়ে সারজিস আলম এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার মধ্যরাতে সারজিস আলম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। এতে লিখেছেন, ইফতারের পর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির সহযোদ্ধাদের সঙ্গে চায়ের আড্ডা দিতে এবং তাদের কথা শুনতে যাই ৷ সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তাদের সঙ্গে গল্প-আড্ডা হয়, তাদের কথা শোনা হয়, চায়ের আড্ডা হয় ৷ 

NSU, IUB, AIUB,  UIU এ চার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক সহযোদ্ধাদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে NSU’র সামনে দিয়ে হেঁটে আসছিলাম ৷ আমার সঙ্গে ১৫-২০ জন প্রাইভেটের সহযোদ্ধারা ছিলো ৷ পরে NSU’র গেটের সামনে দেখি ১০-১২ জন ঢাবি সিন্ডিকেট নিয়ে স্লোগান দিচ্ছে ৷ এর মধ্যে ছাত্রদলের সেন্ট্রাল নেতা আহমেদ শাকিল ছিলো ৷ আমি এগিয়ে যাই তাদের কথা শুনতে ৷ কিন্তু তারা ইচ্ছাকৃতভাবে আমার সঙ্গে থাকা প্রাইভেটের শিক্ষার্থীদেরকে গালিগালাজ করতে থাকে ৷ ওদের ১০-১২জনের মধ্যে ১-২জনকে স্টুডেন্ট মনে হলেও বাকিদের দেখে ভাড়া করা টোকাই দুষ্কৃতিকারী মনে হচ্ছিলো৷ বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করাই এদের উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে আমি দুই পক্ষকে চলে যেতে বলি এবং চলে আসি।

তিনি আরও লিখেছেন, পরবর্তীতে ছাত্রদলের শাকিল তার নেতৃত্বে তার সঙ্গে থাকা টোকাই দুষ্কৃতিকারী সন্ত্রাসীদের নিয়ে পূর্বে আমার সঙ্গে থাকা ওই প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছেলেদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে এবং সরাসরি মাথায় ও পিঠে আঘাত করে একাধিক জনকে রক্তাক্ত করে ৷ 

সবার দেশ/এনএন