Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩:০৪, ৭ মার্চ ২০২৫

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শুভেচ্ছা বার্তায় তারেক রহমান

নারীর সমতায়ন সর্বপ্রথম এজেন্ডা হওয়া উচিৎ

বেগম খালেদা জিয়া শাসনামলে প্রাথমিক স্কুলে ভর্তির হার ৯৭ শতাংশে উন্নীত হয়। ছাত্রীকে শিক্ষাবৃত্তির আওতায় আনা হয় এবং স্কুলে ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠিত হয়। মেয়েদের জন্য দু’টি নতুন ক্যাডেট কলেজ ও তিনটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়।

নারীর সমতায়ন সর্বপ্রথম এজেন্ডা হওয়া উচিৎ
ফাইল ছবি

বৈশ্বিক কর্মযজ্ঞে নারীর সমতায়ন এখন সর্বপ্রথম এজেন্ডা হওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শুক্রবার (৭ মার্চ) এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, শান্তি, নিরাপত্তা, মানবাধিকার এবং টেকসই উন্নয়নে বৈশ্বিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে অপরিহার্য শর্ত হলো নারীর অধিকার।

নারী সমাজ যাতে অবহেলা, নির্যাতন ও নিপীড়ণের শিকার এবং ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে সবার সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। বৈশ্বিক কর্মযজ্ঞে নারীর সমতায়ন এখন সর্বপ্রথম এজেন্ডা হওয়া উচিৎ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে এ দিবসটির গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। তাই নারী সমাজের অগ্রগতি সাধিত হলে জাতির সামগ্রিক বিকাশ সম্ভব হবে। এ সত্যটি উপলব্ধি করেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে নারীর অধিকতর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। সেটির ধারাবাহিকতায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সরকার এ দেশের নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়নসহ নারী সমাজের অশিক্ষার অন্ধকার ঘুচিয়ে শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের জন্য অনেক কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল।

এ প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, তার (বেগম খালেদা জিয়া) শাসনামলে প্রাথমিক স্কুলে ভর্তির হার ৯৭ শতাংশে উন্নীত হয়। ছাত্রীকে শিক্ষাবৃত্তির আওতায় আনা হয় এবং স্কুলে ছেলে ও  মেয়েদের মধ্যে লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠিত হয়। মেয়েদের জন্য দু’টি নতুন ক্যাডেট কলেজ ও তিনটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় চট্রগ্রামে এশিয়ার ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সরকার একটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে এবং উচ্চ শিক্ষা উৎসাহিত করার জন্য ব্যাক্তিখাতে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠান অনুমোদন দেয়। যাতে নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগও বৃদ্ধি পায়। দেশের মানুষকে দ্রুততম সময়ে স্বাক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে একট পৃথক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়।

তিনি বলেন, ১৯৯৩ সালের ১লা জুলাই থেকে দেশব্যাপী প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হয়। দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে শিক্ষা লাভে আগ্রহী করে তুলতে বেগম খালেদা জিয়া সরকার ১৯৯৩ সালে শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি চালু করে। পল্লী অঞ্চলে মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষা অবৈতনিক করা হয় এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্রীদের জন্য দেশব্যাপী একটি উপবৃত্তি কর্মসূচি চালু করা হয়। ফলে নারীর ক্ষমতায়ন এবং উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় তাদেরকে সম্পৃক্ত করার কারণে তাদের মধ্যে আত্মপ্রত্যয় জেগে উঠে। একই সঙ্গে তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ খুঁজে পায়। নারীদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পুরুষদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার সমান সুযোগে সমাজের অগ্রগতি ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। বদলে যাওয়া বিশ্বের কর্মপরিবেশে নারীর সরব উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে।

তারেক রহমান বলেন, আজকের এ শুভ দিনে আমি নারী সমাজের উন্নয়ন ও কল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানাই। এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মূল থীম ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন নারী ও কন্যার উন্নয়ন’ এর সফলতা কামনা করছি।

অপর এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবসের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। দিবসটি পালন করার মূল উদ্দেশ্য হলো বৈষম্য কমানো ও তাদের সম্মান জানানো। অর্ধেকেরও বেশী নারী অধ্যুষিত বাংলাদেশের নারীরা সবসময়ই থেকেছে অবহেলিত। সমাজে তারা যেন কখনোও বৈষম্যের শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা। আমাদের দেশের নারীদের কল্যাণে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রশংসনীয় উদ্যোগে নারীরা আজ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে নারীদের সমতায়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের কারণেই বাংলাদেশে পিছিয়ে থাকা নারীরা নিজেদেরকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে অনেকটাই সক্ষম হয়েছে।  

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া নারীদের শিক্ষিত করতে অবৈতনিক মাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগ করে দেন ও মেয়েদের উপবৃত্তি দেয়ার ব্যবস্থা করেন। এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে নারীরা দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে বলে আমরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মূল থীম ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন নারী ও কন্যার উন্নয়ন’ এর সফলতা কামনা করছি।

সবার দেশ/এনএন