Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৩:৪০, ৮ মার্চ ২০২৫

আপডেট: ০৩:৫০, ৮ মার্চ ২০২৫

মাগুরায় নির্যাতিত শিশুর দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

মাগুরায় নির্যাতিত শিশুর দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
প্রতীকি ছবি

মাগুরায় নির্যাতিত আট বছরের শিশু আছিয়ার সম্পূর্ণ চিকিৎসা এবং পরিবারের সকল প্রকার দায় দায়িত্ব নিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

ধর্ষনের শিকার শিশুটি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের তত্বাবধানে ঢাকা মহানগরের দক্ষিণ যুবদলের সদস্যসচিব রবিউল ইসলাম নয়নের নেতৃত্বে শিশুটির চিকিৎসা চলছে। 

উল্লেখ্য, মাগুরা শহরে বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে আট বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই ঘটনায় শিশুটির দুলাভাই ও তার বাবাকে আটক করেছে পুলিশ।

শিশুটির ফুফাতো ভাই শুক্রবার দুপুরে জানান, গতকাল সন্ধ্যায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে। এখনও সে অচেতন অবস্থায় আছে। তাকে শিশুদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) রাখা হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অবস্থা আরও খারাপ হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হবে। শিশুটি এখন জীবন-মরণ সন্থিক্ষণে হাসপাতালে লড়ছে।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে আনা হয়। সেখান থেকে গতকাল দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

মাগুরায় ৮ বছরের ধর্ষিত শিশুর মায়ের বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি তার ১৪ বছর বয়সি বড় মেয়েকে তিন মাস আগে বিয়ে দিয়েছেন সজীব নামের ছেলের সাথে। কম বয়সে মেয়ে বিয়ে দেয়ার কারণ তার স্বামী মানসিক রোগী এবং তারা অত্যন্ত দরিদ্র।

১৪ বছর বয়সী তার মেয়ে শশুর বাড়িতে আতঙ্কে থাকতো। কারণ, সে একদিন ঘরের আলো জ্বেলে বাইরে যায়। ঘরে ফিরে দেখে ঘরের আলো নেভানো এবং পেছন থেকে কেউ তাকে জড়িয়ে ধরেছে, এ কাজ করছে তার শশুর হিটু মিয়া(৫০ বছর)।

মেয়ে মাকে ফোনে সে কথা জানানোর পর মা বোঝালো, হয়তো ভুলে এমন হয়েছে। অন্ধকারে বুঝতে পারেন নাই মেয়ের শশুর। সেদিন থেকে বড় মেয়ে একা ঘরে থাকতে ভয় পায়। এজন্য মা তার ছোট আট বছর বয়সি মেয়েকে বড় মেয়ের পাশে কিছুদিন থাকার জন্য পাঠিয়েছেন। বড় মেয়ে যেনো সাহস পায়। 

রাতে বড় মেয়ে মাকে ফোন দিয়ে আশ্বস্ত করেছেন ছোট মেয়ে তার পাশে ঘুমিয়েছে। সকালের দিকে মায়ের কাছে ফোন যায়, যে ছোট মেয়ে অসুস্থ এবং হাসপাতালে। মা বড় মেয়ের থেকে জানতে পারলেন, সে ঘুমিয়ে গিয়েছিলো। উঠে দেখে ফ্লোরে তার ছোট বোন কাতরাচ্ছে। এরপর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।

হাসপাতালে বসে মা নিজের বক্তব্যে বলছেন, তার ছোট মেয়েকে ধর্ষণ করেছে, তার পাশে যে ছিলো সে, অর্থাৎ তার বড় মেয়ের স্বামী সজীব।

সবার দেশ/এনএন