ধর্ষণের ঘটনা ফ্যাসিস্ট আ’লীগের অনৈতিক শাসনের ধারাবাহিকতা

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২০১৮ সালে আওয়ামী সরকারের একতরফা নির্বাচনের সময় সুবর্ণচরে বিএনপি সমর্থিত গৃহবধূ পারুল বেগম ধানের শীষে ভোট দেওয়ার কারণে গভীর রাতে তার বাড়িতে ঢুকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তাকে তার সন্তানদের সম্মুখে প্রকাশ্যে ধর্ষণ করে। নারী ও শিশু ধর্ষণের ঘটনা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের অনৈতিক শাসনেরই ধারাবাহিকতা।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, তাই এখন এ প্রথা ভেঙে রাষ্ট্রকে একটি নৈতিক জায়গায় আনতে হবে। একটি বৈধ সংসদে ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে শাস্তির আইন পাশ করতে হবে।
ধর্ষণের শিকার ৮ বছরের শিশুর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সম্প্রতি মাগুরায় একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে আট বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনা সবাইকে নাড়িয়ে দিয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সার্বক্ষণিক নির্যাতিত শিশুটির শারীরিক খোঁজখবর, চিকিৎসার ব্যবস্থা ও আইনি সহায়তার জন্য আইনজীবী নিয়োগ দেন।
দেশজুড়ে ভয়াবহভাবে ধর্ষণ বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিতভাবে এমন ঘটনা ঘটছে যা অনেকেই ভয়ে কিংবা মান সম্মানের কারণে প্রকাশ করেন না। বিভিন্ন বয়সি নারীরা আক্রান্ত হচ্ছেন, বাদ পড়ছে না শিশুও। প্রশাসনের কর্তৃত্ব না থাকায় ধর্ষণের ঘটনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে এবং এতে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দেশ ও জাতীর জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তাই সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান, এসব অপরাধের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। দেশে এখন যা চলতে তা মেনে নেয়া সম্ভব নয়। সমাজের অস্থিরতার এ সময়ে শিকার হচ্ছে নারী ও শিশুরা।
সবার দেশ/কেএম