কুমিল্লা থেকে আওয়ামী লীগ বিতাড়নের দাবি হাসনাত আবদুল্লাহর
‘বাংলাদেশে এনসিপি ও আওয়ামী লীগ একসঙ্গে থাকতে পারে না’
হাসনাত বলেন, আমরা কুমিল্লা থেকে আওয়ামী লীগকে উৎখাত করেছি। শেখ হাসিনার দুঃস্বপ্ন ছিলো এ কুমিল্লা। আমরা তাকে এখান থেকে রাজনৈতিকভাবে কবরস্থ করেছি। গত দেড় দশক ধরে কুমিল্লাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। যখন কুমিল্লা নিয়ে কথা হতো, হাসিনা উপহাস করতো।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, যেভাবে এক খাপে দুই তলোয়ার থাকতে পারে না, ঠিক সেভাবেই ৫ আগস্ট-পরবর্তী বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ এবং এনসিপি একসঙ্গে থাকতে পারে না।
বুধবার (১৯ মার্চ) কুমিল্লার শাসনগাছায় ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ ২৪’-এর শহীদ ও আহত গাজীদের স্মরণে গণইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগকে ছাত্র-নাগরিক রাস্তায় তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে উৎখাত করেছে, সেই আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র চলছে।
হাসনাত বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিদেশি শক্তি নির্বাচনী ফায়দা নিতে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের কূটনীতিতে যুক্ত হয়েছে। আমরা সতর্ক করে বলছি, এ ছাত্র-নাগরিকের হারানোর কিছু নেই।
তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি কেউ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চায়, ৫ আগস্ট গণভবন ও বঙ্গভবনের যে পরিণতি হয়েছে, তাদের পরিণতিও সে রকম হবে।
গত তিনটি জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে হাসনাত বলেন, জনগণ ভোট দিতে পারেনি, ভোট দিয়েছে প্রশাসন। নির্বাচন পরিচালনা করেছে প্রশাসন।
তিনি দাবি করেন, আওয়ামী প্রশাসনের ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন করার কোনো দক্ষতা নেই। প্রশাসন সংস্কার না করা পর্যন্ত আমরা আশ্বস্ত হতে পারছি না।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে হাসনাত বলেন, আপনারা আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিন। উপজেলা নির্বাচন ৫-৬ ধাপে দিয়ে প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করুন।
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, আমরা এ কুমিল্লা থেকে আওয়ামী লীগকে উৎখাত করেছি। শেখ হাসিনার দুঃস্বপ্ন ছিলো এ কুমিল্লা। আমরা তাকে এখান থেকে রাজনৈতিকভাবে কবরস্থ করেছি।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, গত দেড় দশক ধরে কুমিল্লাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। যখন কুমিল্লা নিয়ে কথা হতো, হাসিনা সরকার উপহাস করতো।
এনসিপির শক্ত অবস্থান গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে কুমিল্লার সবকটি আসনে এনসিপির শক্তিশালী অবস্থান থাকবে।
কুমিল্লায় দখলবাজি, চাঁদাবাজি নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে হাসনাত বলেন, যারা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, বাজার ও পুকুর দখল শুরু করেছে, তাদের হাত গুঁড়িয়ে দিয়ে পুলিশে দিন।
তিনি আরও বলেন, কেউ যদি চাঁদা তুলতে আসে, তাকে বলবেন—চাঁদার টাকা হাসনাত আবদুল্লাহকে দিয়ে আসছি, তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে আসুন।
হাসনাত আবদুল্লাহ তার বক্তব্যের শেষে বলেন, আমাদের লড়াই এখনও শেষ হয়নি। আমরা ফ্যাসিবাদকে চিরতরে মাটিচাপা দিতে চাই।
সবার দেশ/কেএম