সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে এনসিপি’র মধ্যে কোনো মতানৈক্য নেই
রিফাইন্ড বা অন্য নামে আওয়ামী লীগ গ্রহণযোগ্য নয়: সারজিস
সারজিস বলেন, আমাদের পার্টির পক্ষ থেকে যে বিষয়টি তুলে ধরেছি, তা হলো শুধু সেনাবাহিনী নয়, কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও যেন আওয়ামী লীগের নতুন কোনও ভার্সন তৈরি করার চেষ্টা না করা হয়।

রিফাইন্ড কিংবা অন্য কোনও নামে আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা যেন কেউ না করে—এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের যেকোনও সংস্করণ জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন সারজিস আলম।
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক নিয়ে দলের মধ্যে কোনো মতানৈক্য নেই বলেও জানিয়েছেন সারজিস আলম। তিনি বলেন, আমাদের পার্টির পক্ষ থেকে যে বিষয়টি তুলে ধরেছি, তা হলো শুধু সেনাবাহিনী নয়, কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও যেন আওয়ামী লীগের নতুন কোনও ভার্সন তৈরি করার চেষ্টা না করা হয়।
এর আগে, সেনাবাহিনীকে নিয়ে এনসিপির আরেক নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর দেয়া ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। ওই পোস্টের কিছু অংশের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে সারজিস আলম নিজেও একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, এ ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়গুলো স্ট্যাটাসের মাধ্যমে প্রকাশ করা ঠিক হয়নি। এতে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার ক্ষেত্রে আস্থার সংকট তৈরি হতে পারে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সারজিস আলম বলেন, রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ বা অন্য কোনো নামে আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার গল্প যাতে কেউ না শোনায়। সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে আমাদের দলের মধ্যে কোনো মতানৈক্য নেই।
সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সারজিস বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। তবে তারা দেশের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা ও দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে, সেটিই আমরা আশা করি।
তিনি আরও বলেন, গুজব একটি ব্যাধি। জনগণকে সচেতন হতে হবে। একই সঙ্গে তিনি গুজব প্রতিরোধে একটি বিশেষ সেল গঠনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এদিন দুপুর ও বিকেলে পঞ্চগড়ের পাঁচ উপজেলায় পথসভা করার কথা রয়েছে এনসিপি নেতা সারজিসের। পথসভায় তিনি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা, গণতান্ত্রিক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে।
এনসিপির এ বক্তব্য এবং রাজনৈতিক অবস্থান সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ রাজনীতিতে নতুন কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা, তা নিয়ে বিশ্লেষকদের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
সবার দেশ/কেএম